শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ফের শপথ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১২

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো শপথ নিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো কট্টর ডানপন্থী নেতা হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সংসদ নেসেটে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ী হন নেতানিয়াহু। ১২০ সদস্যের নেসেটে ৬৩ জন তার নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ছিল ৫৪টি ভোট।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো শপথ নিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

নেসেটে অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পরপরই নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নবম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে নেসেটে দেওয়া বক্তব্যে তিনি জানান, 'আরব-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব' শেষ করাই এই মেয়াদে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে। 

নেসেটে অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পরপরই নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নবম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

সেই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথ রুদ্ধ করতে কাজ করবেন তিনি। ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোও অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি জয়লাভ করে। টানা ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর গত বছর নির্বাচনে হেরে যান নেতানিয়াহু। 

ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোও অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত বছরের জুনে নেসেটে একটি নতুন জোট সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের পর ভোট হয়। নতুন জোট সরকারের পক্ষে ৬০ ভোট পড়ে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পেয়েছেন ৫৯ ভোট।

ইয়েমিনা পার্টি রে ইয়ার লাপিদের মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও ইয়ার ল্যাপিদের জোটে বিচ্ছেদ হয়। 

ইয়েমিনা পার্টি রে ইয়ার লাপিদের মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে।

তাই গত নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নেতানিয়াহুর বিজয়ের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহিংসতা ও ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

এদিকে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ জানিয়েছেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ক্যাডেটদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথার ইঙ্গিত দেন।

এই নির্বাচনে নেতানিয়াহুর বিজয়ের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহিংসতা ও ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বিশ্ব শক্তির কূটনীতিকে শেষ পরিণতি হিসেবে দেখছে। এ কারণে এক দশক ধরে 'চিরশত্রু' ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে দেশটি।

ইত্তেফাক/ডিএস