শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬৩ রুশ সেনা নিহত: রাশিয়া

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:২৪

রাশিয়া সোমবার (২ জানুয়ারি) জানিয়েছে, নববর্ষের প্রাক্কালে রাশিয়ান সামরিক কোয়ার্টারে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬৩ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের রুশ নিয়ন্ত্রিত অংশ মাকিভকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হতাহতের ঘোষণা আসে। যদিও শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিশকো জানিয়েছেন, শহর ও এর আশেপাশে যে ৪০টি ড্রোন আক্রমণ করেছিল তার সবকটিই গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছিল।

নববর্ষের প্রাক্কালে রাশিয়ান সামরিক কোয়ার্টারে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬৩ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) থেকে ছোড়া ছয়টি মাকিভকার রকেটের মধ্যে চারটি স্থাপনায় আঘাত হানে। ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হিমারস সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। 

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আগত দুইটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সরাসরি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে তারা স্পষ্টভাবে এটি স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, আক্রমণটি রাশিয়ার রিপোর্টের চেয়ে বেশি মারাত্মক ছিল।

ইউক্রেনের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) থেকে ছোড়া ছয়টি মাকিভকার রকেটের মধ্যে চারটি স্থাপনায় আঘাত হানে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত যোগাযোগ অধিদপ্তর রোববার (১ জানুয়ারি) জানায়, মাকিভকার একটি ভোকেশনাল স্কুল ভবনে প্রায় ৪০০ রুশ সেনা নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছেন। 

কিন্তু রাশিয়ার বিবৃতিটিতে জানানো হয়েছে, আক্রমণটি মাকিভকা এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল এবং ভোকেশনাল স্কুলের উল্লেখ করা হয়নি।

মাকিভকার একটি ভোকেশনাল স্কুল ভবনে প্রায় ৪০০ রুশ সেনা নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছেন। 

দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোর জন্য রুশ নিযুক্ত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডানিল বেজসোনভ জানান, রাশিয়ার সেনাদের আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটিতে এক 'ব্যাপক আঘাত' হানা হয়েছে।

টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে বেজসোনভ জানান, সেখানে সেনারা নিহত ও আহত হয়েছেন, সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইত্তেফাক/ডিএস