রোববার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

উপনির্বাচন

অঘটন ছাড়াই শেষ হলো গাইবান্ধার ভোট

আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৮

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ১৪৫টি কেন্দ্রে শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণে নিদিষ্ট সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম এ চলছে গণনা। ভোটের ফলাফল জানতে কেন্দ্রগুলোতে এখন ভিড় জমাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক, ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। ফলাফলে কে হাসবেন শেষ হাসি তা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মানুষের মাঝে। তবে ফলাফল যাই হোক এমপি হিসেবে নির্বাচিত হবেন নৌকা-লাঙ্গলের প্রার্থীই। 

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রনজু। 

ভোটগ্রহণ শেষে কথা হয় গোলাম শহীদ রনজুর সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। কেন্দ্রগুলোতে ভোটের যে ফলাফল তাতেও প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা করছেন তিনি। সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণা হলে লাঙলের জয় সুনিশ্চিত।

সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ ভোটের মাঠে দায়িত্বরত সকলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন।

তিনি বলেন, ‌সকলের আন্তরিকতায় সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দিনভর সাঘাটা ফুলছড়ির মানুষ নৌকা প্রতীকেই ভোট দিয়েছেন। এ কারণে ফলাফলে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন তিনি।

বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি ছাড়া নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর সব কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে দুই উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ। 

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এই নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। 

এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

ইত্তেফাক/পিও