রাজধানীর দক্ষিনখান থানা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর এর উপর কিশোরগ্যাং নেতা শাকিলের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ ট্রান্সমিটার এলাকার ইন্টরনেট ব্যাবসায়ী ও কিশোরগ্যাং সর্দার শাকিল আহমেদ তুষারসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন কৃষকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর।
এজহার থেকে জানা যায়, বাদী জাহাঙ্গীর টঙ্গী সেনা কল্যান ভবনের একটি গার্মেন্টস্ মেশিনারীর দোকানে কাজ করেন। কয়েক দিন আগে দোকানের মালিক দুলাল আরেফিন এর ট্রান্সমিটার রাজনৈতিক অফিসে দোকানের হিসাব বুঝিয়ে দিতে আসেন। কয়েকজন লোক অফিসের সামনে এসে দোকানের মালিক দুলাল আরেফিন এর নাম ধরে গালাগাল করতে থাকে। এমন সময় জাহাঙ্গীর বাড়ির গেট খোলা মাত্রই শাকিল আহমেদ তুষার এর নেতৃত্বে কয়েকজন জাহাঙ্গীর কে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং শাকিল আহমেদ তুষারের হাতে থাকা চাপাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, শাকিল নামে আরেকজন আসামি ধারালো চাকু দিয়ে চোখের ডান পাশে আঘাত করে এবং এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে জাহাঙ্গীর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। জাহাঙ্গীর বাঁচান বাঁচান চিৎকার করিলে অফিস থেকে দুলাল আরেফিন, মাসুম আহমেদ ,নাজমুল হুদা ও মুন্না বের হয়ে এলে শাকিল আহমেদ তুষার হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুলাল আরেফিন সহ সবাই জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো, ১, শাকিল আহমেদ তুষার, পিতা আবুল হোসেন ২, মো. শাকিল, পিতা মাকসুদুর রহমান ৩, মো. জামান মজুমদার, পিতা হান্নান ভান্ডারীরসহ আরো অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
দক্ষিণখান থানা কৃষকলীগ নেতা দুলাল আরেফিন বলেন, শাকিল আহমেদ তুষার একজন সন্ত্রাসী। সে স্থানীয় কিশোরগ্যাংদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করে না, তার বিরুদ্ধে দাক্ষিণখান থানায় সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিনখান থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই আসামি ধরা পরবে।