বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পলিনেট হাউজে ফুল চাষে সফল চাষি শহীদুল

আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৪

পলিনেট হাউসে (গ্রিনহাউস) ফুলের চাষে সফল হয়েছেন সিরাজগঞ্জের চাষি শহীদুল ইসলাম। পলিনেটে ১২ শতক জমিতে ফুলের চাষ করতে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭০ হাজার টাকার ফুল বিক্রিও করেছেন। বাগানে আরও বেশ কিছু ফুল রয়েছে।

ফুলের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ খুশি সদর উপজেলার একডালা গ্রামের চাষি শহীদুল ইসলাম। তার হাউজে চন্দ্রমল্লিকা, গাদা ও গোলাপ ফুলে ছেয়ে গেছে। বর্তমানে ফুল তুলতে ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত তিনি। ফুলের চাহিদা থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করা হচ্ছে। তার দেখাদেখি এ অঞ্চলের আরও অনেক কৃষক পলিনেটে হাউসে ফুল ও সবজি চাষে উদ্যোগ নিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানায়, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দিতে একটি পলিনেট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। এই পলিনেট হাউসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফসল ও ফুলগুলো চাষাবাদ করা। বিশেষ করে লেটুস, ক্যাপসিকাম ও বিভিন্ন ফুল চাষাবাদ করা।

আবার শীতকালীন ফুল ও ফসল গ্রীষ্মকালীন সময়ে চাষ করা যায়। পলিনেট হাউজে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অনেক সময় শৈত্যপ্রবাহ, খরা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির কারণে উচ্চমূল্যের ফসলগুলো চাষাবাদ করতে সমস্যা হয়। কিন্তু পলিনেট হাউসে এই সমস্যা থাকবে না। আগাম ফসল এখানে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।

চাষি শহীদুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউসে চাষাবাদ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে উন্নতমানের টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষাবাদ করা যায়। এক সময় ফসল চাষাবাদের পর জমি ফাঁকা থাকতো। কিন্তু পলিটেন আসার পর এখন আর জমি পতিত থাকে না। এই সমটায় বিভিন্ন ফুল চাষের উদ্যোগ নেই। এ বছর ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় একটি পলিনেট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। পলিনেট হাউজে ফুল চাষ সিরাজগঞ্জে এই প্রথম। এতে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চাষাবাদ করা যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ইত্তেফাক/আরএজে