বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

৮ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪০

পিরোজপুরের নাজিরপুর ও টুঙ্গিপাড়ার দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। এই দুই উপজেলার মোট আট গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে এ বাঁশের সাঁকো পারাপার হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, ব্রিজ না থাকায় নাজিরপুর উপজেলার সোনাপুর, চাঁতর, বিলডুমরিয়া, পদ্মডুবি, দেউলবাড়ি, পেনাখালি, ঝনঝনিয়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বানারঝোড়, নয়কান্দি, করফা গ্রামের বাসিন্দারা ও দুই পাড়ে অবস্থিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ও মালামাল আনা-নেওয়ায়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাঘাট অনুন্নত এবং উপজেলার শেষ সীমান্ত হওয়ায় জনসাধারণকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশঁবাড়িয়া হয়ে মাটিভাঙ্গা-পিরোজপুর মহাসড়ক দিয়ে বাস কিংবা অটোরিকশার প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

এ ছাড়া তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার জাতকরণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোট খাট দুর্ঘটনা।

সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন গাজী জানান, মাঝে মধ্যে সাঁকো ক্ষতিগ্রস্থ হলে শিক্ষার্থীদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়। তাই এখন বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে অনতিবিলম্বে একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

বিলডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আখতার তালুকদার বলেন, নদীতে ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষিপণ্য মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়। তাদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার তরুর বাজার ও পার্শ্ববর্তী সাতলা, হারতা বাজারে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যোগাযোগে চরম বিপাকে পড়তে হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কোটালীপাড়া ও নাজিরপুর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গাওখালি থেকে কাচারীভিটা নামক স্থানে একটি প্রস্তাবনা রয়েছে।

ইত্তেফাক/আরএজে