শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুয়াশায় নষ্ট বীজতলা, দুশ্চিন্তায় কৃষক

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৪

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে পরেছে। ইতোমধ্যেই অনেক এলাকার বোরো চারা বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কোল্ড ইনজুরি কেটে না উঠলে বোরো মৌসুমে জেলায় চারার সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এ জেলার কৃষক।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরে জেলায় এক লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী জাতের ধান রয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৩শ হেক্টর, হাইব্রিড ১৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর স্থানীয় জাতের দুই হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে। আর এর জন্য সাত হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়।

সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল শেখ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আমার বীজ তলার চারা নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় কৃষিবিভাগের পরামর্শে বীজতলা সালফার জাতীয় সার স্প্রে করা হয়েছে। এছাড়াও জমিতে পানিসেচের ব্যবস্থা ও পলিথিন দিয়ে বীজ তলা ঢেকে রাখায় ক্ষতি অনেকটাই কমেছে।

কামারখন্দের নান্দিনামধু গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, আমি প্রায় ২৪ ডেসিমাল জমিতে চারা উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু শৈত্য প্রবাহের কারণে আমার বীজতলা অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে কোনো কোনো এলাকায় বীজতলায় এর প্রভাব পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বীজতলা রক্ষার জন্য সালফার জাতীয় সার স্প্রে করা হচ্ছে। তাছাড়াও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়াসহ অনেক বীজতলায় গভীর নলকূপের সাহায্যে পানি দেওয়ার কারণে এই আশঙ্কা অনেকটাই দূর হয়েছে।

ইত্তেফাক/আরএজে