শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৬ শতাধিক শীতার্তের মুখে হাসি

কপিলমুনিতে শীতবস্ত্র বিতরণ

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩১

হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ খুলনার গরীব অসহায়,দরিদ্র,দুস্থ,গরিব,দুঃখী, শিশু,বৃদ্ধ,নারী-পুরুষ নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছেন। কনকনে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এবং মানুষের অসহায়ত্বকে প্রকট করে তুলেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনজীবনে শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচার জন্য মানুষের প্রয়োজন শীতবস্ত্রের। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবান ব্যক্তি।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি-হরিঢালী-নগর শ্রীরামপুর এলাকায় অসহায় ছয় শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা করেন মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইলেকশন ক্যাম্পেইন কমিটির ফ্লোরিডা চ্যাপ্টারের উপদেস্টা, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ডহরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির বায়তুল মা’মুর জামে মসজিদ (মুন্সিবাড়ী নগর শ্রীরামপুর) প্রাঙ্গনে ৬ শতাধিক অসহায় ও দুস্থদের উপস্থিতিতে কম্বল বিতরণ করা। উপস্থিত ছিলেন, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সামসুল আলম পিন্টু, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আসলাম হোসেন, সাংবাদিক শেখ সেকেন্দার আলী, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এ কে আজাদ, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের উপজেলা সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম, সাংবাদিক পলাশ কর্মকার প্রমুখ।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে অসহায় মানুষের উদ্দেশে ইমরানুল হক চাকলাদার ফ্লোরিডা থেকে ভিডিও বক্তৃতায় বলেন, শীতের কষ্ট সেই বুঝবে যার কাছে শীত নিবারণের মতো কোনো বস্ত্র নেই। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় শীতের কষ্ট থেকে দরিদ্র মানুষদের রক্ষা করা সম্ভব।

 নতুন কম্বল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শীতার্ত শত শত মানুষ। নগর শ্রীরামপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন নামের এক অশীতিপর নারী বললেন,বাড়িঘর তেমন কিছুই নেই। শীতে অতি কষ্টে আছি, প্রচণ্ড কস্ট। শীতের পোশাক খুব সামান্য। শীতে শরীর কাঁপে ঠনঠন করে। এই কম্বল পেয়ে বড় উপকার হলো। আর ষাটোর্ধ্ব রহিমা বলেন, কাজ নাই। খুবই অসহায়। আমাদের খোঁজ নেওয়ার কোনো মানুষ নেই। শীতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কম্বলখানা পেলে খুব ভালো হলো।

সলুয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা সখিনা বলেন, আমরা খুবই গরীব। অসহায় মানুষ। যে ঠাণ্ডা পড়েছে কম্বল খুব দরকার ছিল। কিন্তু কেউ কম্বল দেয়নি। প্রথম একটা কম্বল পেলাম। কম্বল পেয়ে আমি খুশি। কপিলমুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী হতদরিদ্র সুমাইয়া ও রুপা কম্বল পেয়ে খুবই আনন্দিত।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নে। তিনি এদেশে মানবকল্যাণের এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

ইত্তেফাক/এসসি