জামালপুরে দুই প্রসূতি নারী ৮ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন শিশু মারা গেলেও জীবিত ৭ জন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ও রাতে জামালপুর শহরের দুটি হাসপাতালে এসব শিশুর জন্ম হয়।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামের কৃষক সাজু মিয়ার (৪০) স্ত্রী দুলেনা বেগম (৩৫) বৃহস্পতিবার বিকালে সন্তান প্রসবের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে স্বাভাবিক প্রসব হয় দুলেনার। এ সময় তিনি ৪ জন সন্তান প্রসব করেন। এদের মধ্যে ৩ জন মেয়ে ও একজন ছেলে। কিন্তু জন্মের সময়ই মারা যায় ছেলে সন্তানটি। বর্তমানে মা ও তিন কন্যা শিশু সুস্থ রয়েছে। সাজু-দুলেনা দম্পতির আগেও আরও ৫ টি সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে তিন জন মেয়ে ও দুইজন ছেলে। এ নিয়ে মোট ৮ সন্তান পেয়ে বেশ খুশি এই দম্পতি। সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন তারা।
এদিকে একই দিনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর (২৩) স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (২২) জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হন। পরে সন্ধ্যায় ডা. খায়রুল বাশার পলাশ অস্ত্রপাচারে ৪ কন্যা সন্তনের জন্ম হয়। কিন্তু তাদের ওজন কম হওয়ায় পরবর্তীতে ওই শিশুদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্র ভর্তি করা হয়। তবে মা ও সন্তান এখনও সুস্থ রয়েছে বলে জানান গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ।
বিয়ের আট বছর পর এই প্রথম এক সঙ্গে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুশি বাবা আতাউর রহমান বাবু। তিনি সকলের কাছে তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ৪ নবজাতকের মধ্যে জীবিত তিন কন্যা শিশু সুস্থ রয়েছে। তাছাড়া শহরের বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া চার কন্যা শিশুকে জেনারেল হাসপাতালের বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তারাও সুস্থ রয়েছে। তবে সকল নবজাকের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। মা ও নবজাতকদের নিবিড় সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।