ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের শ্যালক শাফায়েত হোসেন (৩৮) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে শাফায়েত হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফের নির্বাচনী এজেন্ট মুসা মিয়াকে (৮০) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার পূর্ববাজার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার মুসা মিয়া আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। এছাড়া রাত থেকে আমার শ্যালক শাফায়াতও নিখোঁজ রয়েছে।। সে নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী। এ ঘটনায় নির্বাচনে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, মুসা মিয়ার গ্রেপ্তারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আশুগঞ্জের দুর্গাপুরের এক মামলার আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রার্থীর শ্যালক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন।
গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছায়ের পর ৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরে জাতীয় পার্টির দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।