কুড়িগ্রামে রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সোনাভরি নদীর চর কেটে মাটি লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী একটি বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এ কাজ করছে।
দিনরাত অবৈধভাবে কাটামাটি ট্রাকে ভরে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় পুকুর ভরাটসহ বসতভিটায়। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে নদীর পারে ফসলি জমি, বসতবাড়ি সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে সোনাভরি নদী। এই নদীর মধনেরচর, মুন্সিপাড়া গ্রাম, আনন্দবাজার ও তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।
মেম্বরপাড়া গ্রামের বাহাদুর জানান, দিনরাত বাড়ির সামনে দিয়ে মাটির ট্রাক চলাচল বাড়িতে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। যেভাবে মাটি কাটা শুরু হয়েছে আবাদ করার জমি আর থাকবে না। নদী আবার ভাঙবে।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ জানান, আমরা জোর করে মাটি কাটি না। সবার সঙ্গে কথা বলেই মাটি কাটা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ফসলি জমির মাটি কোনোভাবেই কাটা যাবে না। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।