রাজশাহীর বাঘায় ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে সুদীপ্ত হালদার শাওন নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে আবদুলপুরের করিমপুর রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে। সুদীপ্ত হালদার শাওন আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা মহল্লার শুকুমার হালদারের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুদীপ্ত হালদার শাওন বাবা-মার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আবদুলপুর গ্রামে তার মামা সেতু কুমার হালদারের বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। রোববার দুপুরের দাওয়াত খেয়ে বিকাল ৪টার সময় আবদুলপুরের করিমপুর রেলগেটে আসে। এ সময় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে যায়। সেলফি তুলতে গিয়ে সে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর অবস্থা অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর থেকে মা শান্তনা হালদার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না।
সুদীপ্ত হালদার শাওন আড়ানী সরকারি মনোমোহীনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ফরম পূরণ করেছে। রোজার ঈদের পর ৩০ এপ্রিল তার পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো। সে মেধাবী ছাত্র বলে জানান অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শ্রী সঞ্জয় দত্ত।
তার বাবা সুকুমার দালদার বলেন, দুপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে আমার কাছে টাকা চায়। টাকা দিলেই ফোনে ইন্টারনেটের প্যাকেজ কিনবে। তাই টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা দিলে হইতো ফোনে ইন্টারনেটের প্যাকেজ কিনে বাড়িতে থাকতো। আমার ছেলেটা আর এভাবে মারা যেতো না।
রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ের দায়িত্বে থাকা পাকশির পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি। আপনি রাজশাহী রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করেন। এদিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।