রাজধানী দক্ষিণখানে বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের ওপর হামলা ও একজন শ্রমিক নেতাকে অপহরণের অভিযোগে আন্দোলন করছে সাধারণ শ্রমিকেরা। ছাত্রলীগের হামলায় একজন গুরুতরসহ অন্তত ১০/১২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে শ্রমিকেরা।
দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায় রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করেন এঅ্যান্ডএ ফ্যাশনের শ্রমিকেরা।এতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক অংশ নেন।
এ বিষয়ে সাধারণ শ্রমিকেরা বলেন, চলতি মাসসহ আমরা দুই মাসের বেতন পাইনি। দেই, দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ। যার কারণে গত ২০ জানুয়ারি আমরা আন্দোলন করেছিলাম। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশের সামনে তখন মালিক কর্তৃপক্ষ আজ (রোববার) বেতন দেবে বলে জানিয়েছে। যার কারণে আমরা সকাল থেকেই গার্মেন্টসে অবস্থান করছিলাম। অতঃপর রাত ৯টার দিকে আমরা জানতে পারি কিছু শ্রমিকদের মোল্লারটেক উদয়ন স্কুলের পেছনের কাজিকলি রোডের শিপনের বাসায় গোপনে বেতন দিচ্ছে। বাকি শ্রমিকেরা বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গেলে তাদের ওপর উত্তরা পূর্ব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবীরের নেতৃত্বে ২০-২২ জন হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা রুহুল আমিনকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও অন্তত ১০-১২ জন নারী শ্রমিককে তারা মারধর করেছে। তাদের মধ্যে অপারেটর সুখির অবস্থা গুরুতর। তাকে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল নিয়ে গেলেও কোথাও ভর্তি রাখেনি। যার প্রতিবাদে আমরা সাধারণ শ্রমিক আন্দোলন করছি।
এ বিষয়ে এঅ্যান্ডএ ফ্যাশনের কোয়ালিটির সেলিম বলেন, গত ২০ তারিখে বেতনের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। তখন মালিক পক্ষ বলছে ২৯ তারিখে বেতন দিয়ে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেবে। পরে আর বেতন দেয়নি। আজ (রোববার) বেতনের জন্য গেলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। বেতন ভাতার জন্য আমরা আন্দোলন করছি।
গার্মেন্টসের অপারেটর বলেন, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন আমাদের পাশেই ছিলো। কোট পরা কয়েকজন ছাত্রলীগের পোলাপান তাকে নিয়ে গেছে। আমাকেও পিটিয়ে আহত করেছে তারা।
শ্রমিক আসমা বলেন, এক মেয়ে গর্ভবতী। তাকে কিছু লোকজন মারধর করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু নারী শ্রমিককে মারধর করছে। এখান থেকে অন্ধকারে যেসব নারী শ্রমিকেরা গেছে সবাই পড়ে যাচ্ছিল। পরে এসে দেখি তাদেরকে মারধর করা হচ্ছে।
দক্ষিণখান থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্রমিকরা অভিযোগ করলে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।