মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

তুরস্কে যেভাবে এরদোয়ানকে হারাতে চায় বিরোধীরা

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩২

তুরস্কে এরদোয়ানকে হারাতে মরিয়া ছয় বিরোধী দলের জোট। তারা জানালো, ক্ষমতায় এলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কম করা হবে। এরদোয়ানকে হারাতে তাদের প্রথম কৌশলের কথা জানালো ছয় বিরোধী দলের জোট। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে উদার সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা হবে।

রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রধান ফাইক ওজট্র্যাক বলেছেন, 'আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরব, যেখানে শক্তিশালী, উদার, ন্যায় ভিত্তিতে চলা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে। যেখানে প্রশাসন, আইনসভা ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা আলাদা থাকবে। কেউ কারো কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। পার্লামেন্টের ক্ষমতা অনেক বাড়ানো হবে।'

তুরস্কে এরদোয়ানকে হারাতে মরিয়া ছয় বিরোধী দলের জোট।

এই জোট চায়, সব বিরোধী দল মিলে একজন প্রার্থীকে সমর্থন করুক। কোনো প্রার্থীর নাম অবশ্য জানানো হয়নি। বিরোধীদের দাবি, তুরস্কে একজনের শাসন চলছে। এরদোয়ান সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। আগের সংসদীয় ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকেই উঠিয়ে দিয়েছেন। 

সব ক্ষমতা এখন প্রেসিডেন্টের হাতে। বিরোধীদের অভিযোগ, একজনের শাসন চলায় দেশের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ, মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা বলে আর কিছু নেই। বিশ্লেষকেরাও মনে করেন, তুরস্কের বিচার বিভাগ অনেকটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে। তুরস্কের মিডিয়ার অবস্থা একই।

বিরোধীদের দাবি, তুরস্কে একজনের শাসন চলছে।

এই বিরোধী জোটে কুর্দদের দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) নেই। তারা অবশ্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল। বেআইনি ঘোষিত পিকেকে এর সঙ্গে এইচডিপি এর যোগাযোগ আছে দাবি করে, সরকার এই পার্টির কাজকর্মও বন্ধ করে দেয়ার কথা বলছে। 

এইচডিপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ছয় দলের বিরোধী জোট চায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুইজনের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

ইত্তেফাক/ডিএস