সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

১৫ বছরেও গ্যাসের লোড বাড়ানো হয়নি

সিলেটের ফিলিং স্টেশনে তীব্র গ্যাস-সংকট

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৪২

সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসসংকট চলছে। দীর্ঘ ১ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে গ্যাস নিতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। অনেক সময় গ্যাস নিতে গিয়ে রাত পার হয়ে যায়। চালকরা বাধ্য হয়ে ঘুম চোখে গাড়ি চালান। ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশাঙ্কা করা হচ্ছে। পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, দীর্ঘ ১৫ বছরেও বাড়ানো হয়নি গ্যাসের লোড। এ কারণে অধিকাংশ ফিলিং স্টেশনের লোড মাসের ২২ তারিখে শেষ হয়ে যায়। লোড না থাকায় সিলেটের প্রায় ৭০ ভাগ সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

গতকাল নগরের সোবহানীঘাট সুরমা সিএনজি ফিলিং স্টেশন, গ্যাসোলিন ফিলিং স্টেশন, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দেখা যায়, ছোট-বড় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গ্যাস নেওয়ার জন্য এত চাপ, ফিলিং স্টেশনের চত্বর মাড়িয়ে প্রধান সড়কেও অনেক যানবাহন ছিল। এ কারণে সৃষ্টি হয় যানজটের। পার্শ্ববর্তী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেছেন যানবাহনের দীর্ঘক্ষণ লাইনের করণে তাদের ব্যবসা লাঠে উঠতে যাচ্ছে। 

সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা বলছেন, লোড না বাড়ানোয় স্টেশনগুলোয় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জালালাবাদ গ্যাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে তারা মাসিক লোডের ক্ষেত্রে কিছুটা আগ-পিছ করছেন।

সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তারা   জানান, সিলেট বিভাগে সব মিলিয়ে ৩৬টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। জেলার প্রতিটি পাম্পেই নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক গ্যাস বরাদ্দ দেয় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি। কিন্তু মাস শেষের আগেই বিশেষ করে তৃতীয় সপ্তাহে অনেক পাম্পে বরাদ্দকৃত গ্যাস শেষ হয়ে যায়। ফলে মাস শেষের আগেই গ্যাস সংকটে পড়ে পাম্পগুলো। তাই নগরী ও আশপাশের প্রায় চার-পাঁচটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে পড়ে মাস শেষ হওয়ার আগে।

ইত্তেফাক/ইআ