আজ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দেশের সব স্তরের মানুষকে, বিশেষ করে ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের অধিকতর গ্রন্থাগারমুখী করে তোলা, জাতি গঠনে গ্রন্থাগারের অবদান ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা, দেশে বিদ্যমান গ্রন্থাগারগুলোতে জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ওপর সর্বশেষ প্রকাশিত বই ও সাময়িকীর তথ্যাদি প্রদান, পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির কলাকৌশল সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময়, মননশীল সমাজ গঠনে স্থানীয় পর্যায়ে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা, পাঠসামগ্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং পাঠক তৈরির মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রন্থাগারকর্মী ও পেশাজীবী, লেখক, প্রকাশক, পাঠক, বিশেষ করে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় ৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ ঘোষণা করেন। এবারের (২০২৩) প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ’। এই স্লোগান বিশ্বব্যাপী চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নের আলোকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো :স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এজন্য এর পূর্বশর্ত যে স্মার্ট এডুকেশন ও স্মার্ট লাইব্রেরি, সে কথা বলাই বাহুল্য।
একটি জাতির মেধা ও মনন, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও লালনকারী হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য বলা হয়, গ্রন্থাগার হলো সমাজ উন্নয়নের বাহন। আমাদের দেশের সরকারপ্রধানগণও গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বিভিন্ন সময়ে গ্রন্থাগারমুখী ব্যাপক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ঐতিহাসিকভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে উড্ডীন হওয়ার পর বিভিন্ন সরকার কর্তৃক দেশের গ্রন্থাগার উন্নয়নের লক্ষ্যে দৃশ্যমান একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের উদাহরণ বিদ্যমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেরেবাংলা নগরস্থ ‘বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার’। ঢাকার শাহবাগ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠাও তারই পরিকল্পনার অংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার স্থাপন এবং গ্রন্থাগারে সহকারী গ্রন্থাগারিকের একটি করে পদ সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় গণগ্রন্থাগার রয়েছে এবং উপজেলায় গ্রন্থাগার স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ গ্রন্থাগার পরিচালিত হচ্ছে।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ষষ্ঠ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দেশের সব পর্যায়ের গ্রন্থাগার ও শিক্ষার মান পর্যালোচনার সময় এসেছে। আমরা জানি, যে জাতির গ্রন্থাগার যত সমৃদ্ধ, সে জাতি তত উন্নত। আমরা এ-ও জানি, বর্তমান যুগে কোনো জাতির উন্নয়নের ব্যারোমিটার বা পরিমাপক যন্ত্র হচ্ছে গ্রন্থাগার এবং তথ্য ব্যবহারের পরিমাণ, অর্থাৎ যে জাতি যত বেশি পরিমাণে গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবহার করে, সে জাতি তত বেশি উন্নত। গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবহারের বর্তমান মানদণ্ড হচ্ছে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক, বৈশ্বিক অর্থনীতি সূচক এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বৈশ্বিক র্যাংকিং।
বিগত ১২-১৩ বছরে দারিদ্র্য দূরীকরণ, উৎপাদনশীলতা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাত, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে লক্ষ করা যায় যে, উল্লেখিত সময়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। কিন্তু বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশকে ঈপ্সিত স্থানে পৌঁছাতে গ্রন্থাগার ব্যবহার ও শিক্ষার মানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
চলতি বছরের বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকের (গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স) তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশন (এমবিআরএফ)। এই তালিকায় বিশ্বের ১৫৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম। প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ আর জ্ঞান অর্থনীতির সূচকে ভালো পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে ধারাবাহিকভাবে খারাপ করে চলেছে। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে বাংলাদেশ। আর টানা চতুর্থ বারের মতো এই তালিকায় শীর্ষে আছে সুইজারল্যান্ড। ২০২১ সালের জ্ঞান সূচক তৈরিতে সাতটি বিষয়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সাধারণ সক্ষমতার পরিবেশ।
উচ্চশিক্ষায় প্রতি বছর বিভিন্ন সংস্থা যে বৈশ্বিক র্যাংকিং করে, তাতে প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা, গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা—এই সবকিছুতেই সংস্কার আনা প্রয়োজন। অন্য সব আলোচনার আগে আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে গ্রন্থাগার উন্নয়নের বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা যেতে পারে। তার আগে আমাদের গ্রন্থাগারসমূহের বিদ্যমান চিত্র কিছুটা সামনে আনা যায়। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্রন্থাগারের অবস্থা সবচেয়ে ভালো। কোনো কোনো গ্রন্থাগার বিশ্বমানের এবং এগুলোকে যথার্থভাবে স্মার্ট গ্রন্থাগার বলা যেতে পারে। সরকারি-বেসরকারি ছোট-বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গ্রন্থাগার রয়েছে, রয়েছে কমবেশি প্রশিক্ষিত জনবল ও পাঠসামগ্রী। যদিও এগুলোর কয়েকটি বাদে বাকিগুলোকে স্মার্ট গ্রন্থাগারে রূপান্তরের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। সরকার পরিচালিত এবং বেসরকারি গণগ্রন্থাগারগুলো তথ্যসেবা প্রদান করে চলেছে সুদূর অতীত কাল থেকে। সমস্যাগ্রস্ত হলো কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার গ্রন্থাগারসমূহ। প্রয়োজনীয় সুবিধাদি যেমন—শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগার, প্রশিক্ষিত লোকবলসহ গ্রন্থাগার, মাথাপিছু স্থান, ছাত্রশিক্ষক অনুপাত ইত্যাদি আবশ্যকীয় সুবিধা সৃষ্টি না করেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রাজশাহী অঞ্চলের স্কুল ও কলেজ গ্রন্থাগারগুলোর করুণ চিত্র আমাদের সে কথাই মনে করিয়ে দেয়। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রতিবেদনটির কিয়দংশ এখানে উদ্ধৃত করা হলো :
“তালাবদ্ধ জরাজীর্ণ ঘর। ভাঙাচোরা আলমিরাতে সারি সারি বই। অধিকাংশই পুরোনো, মলাট ছেঁড়া। আলমারি ও বইয়ে ধুলোর স্তূপ। মাকড়সার জাল ছেয়ে আছে এদিক-ওদিক। এটা জ্ঞানের বাতিঘর লাইব্রেরির চিত্র। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির এমনই করুণ দশা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি থাকার কথা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানেই তা নেই। থাকলেও সেটি বইয়ের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে। এসব লাইব্রেরিতে বসার আগ্রহও নেই শিক্ষার্থীদের। অনেক শিক্ষার্থী জানেনই না তাদের প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি আছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান পদে লোক থাকলেও লাইব্রেরি আছে নামমাত্র, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোনো কাজেই আসে না।
স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি—এক কথায় স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে পড়াশোনার মান আমাদের বাড়াতেই হবে, সেই সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার। পড়াশোনার মান তখনই বাড়বে, যখন ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি গ্রন্থাগারে গিয়ে বিষয়সংশ্লিষ্ট পুস্তকের অতিরিক্ত রেফারেন্স বই পড়ে নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। সেই সঙ্গে অনলাইনে শিক্ষক প্রদত্ত ওয়েবসাইট (একাধিক হতে পারে) ঘাঁটাঘাঁটি করে নিজের জ্ঞানস্তরকে সমৃদ্ধ করবে। অপ্রিয় হলেও আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উচ্চ জিপিএ অর্জন করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষায় একই পাঠক্রমের ওপর করা প্রশ্নপত্রের উত্তরে খারাপ ফলাফল করছেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা গ্রন্থাগারে পড়াশোনা, রেফেরেন্স বই পড়া, ওয়েবসাইট সার্চ করে পড়াশোনা তো দূরের কথা, নিজেদের পাঠ্যপুস্তকও সঠিকভাবে পড়ে আয়ত্ত করেন নাই। তারা গাইড বা নোট পড়ে পাশ করেছেন। এ অবস্থায় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে—ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক ও গ্রন্থাগারভিত্তিক পড়াশোনায় মনোনিবেশ করানো, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার সম্পর্ক দৃঢ়তর করা এবং স্মার্টফোনকে অর্থবহ কাজে লাগানো। প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অনুমোদনের শর্তানুযায়ী যথানিয়মে গ্রন্থাগার পরিচালনা এবং সরকারি নির্দেশ মোতাবেক এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এ ছাড়া সরকার নির্দেশিত লক্ষ্যভিত্তিক শিক্ষা (ওবিই) বাস্তবায়নের জন্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রন্থাগারের প্রতি উত্সাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সর্বস্তরে লক্ষ্যভিত্তিক গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলো সরকার বিবেচনা করতে পারে :১. শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা। জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ০০ শতাংশ করা যায় কিনা, (চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ)। ২. স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা পর্যায়ের গ্রন্থাগার পরিচালনার পরিবীক্ষণ পদ্ধতি নিবিড়তর করা; এমপিওভুক্তির সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে তারা যথানিয়মে গ্রন্থাগার পরিচালনা করবেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সুবিধাসংবলিত কম্পিউটার সরবরাহ করা। ৩. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; বৈশ্বিক র?্যাংকিংয়ে যথাস্থানে (উচ্চস্থান) অধিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে টার্মস অব রেফারেন্সসহ একটি সেল তৈরি করা এবং এর কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করা।
লেখক :উপদেষ্টা, গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা এবং প্রাক্তন পরিচালক, বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), সাভার, ঢাকা।