শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফাইনালের অপেক্ষায় বাংলাদেশ-ভারত

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৪

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চার দেশের লড়াইয়ে ফেভারিট বাংলাদেশ এবং ভারত। সেই দুই দেশই ফাইনালের পথ অনেকটা উজ্জ্বল। পয়েন্ট টেবিলেও এই দুই দেশ এগিয়ে। এরই মধ্যে দুই খেলায় চার পয়েন্ট করে পেয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। গতকাল বাংলাদেশ-ভারত লড়াই গোলশূণ্য ভাবে শেষ হয়েছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে হওয়া এই লড়াই উত্তাপ ছড়িয়েছিল। কিন্তু ৯০ মিনিটের বেশি সময় লড়াই করেও কেউ জালে বল ছোঁয়াতে পারেনি।

আগামীকাল ভারত-নেপাল এবং বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ। এই দুই ম্যাচেই নির্ধারণ হবে কারা যাচ্ছে ফাইনালের মঞ্চে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ যদি ভুটানকে হারায় তাহলে ফাইনালে চলে যাবে। যদি ড্র হয় তাহলেও বাংলাদেশ ফাইনালে উঠবে। আর ভারত যদি নেপালকে হারায় তাহলে ভারত ফাইনালে চলে যাবে। ভারতের পয়েন্ট চার। নেপালের তিন। নেপাল-ভারত ড্র হলে ভারত ফাইনালে উঠবে। নেপালকে জিততেই হবে, ফাইনালে উঠতে হলে।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত কঠিন লড়াইয়ের চেষ্টা করেনি। হালকা মেজাজে খেলেছে পুরোটা ম্যাচ। কারণ তারা ধরেই নিয়েছে ফাইনাল খেলতে হবে, তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কঠিন লড়াই, আর বাংলাদেশের ম্যাচের পর নেপালের মতো দলের বিপক্ষেও খেলতে হবে। এক সঙ্গে তিন ম্যাচের পরিকল্পনা। এই তিন ম্যাচই ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা একটা ভুলের জন্য ফাইনাল হারাতে চায় না। শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও নষ্ট করতে চায় না। তাই আর ভারত আগ্রাসী ভূমিকায় খেলেনি।

ভারতীয় কোচ ময়মল রকির পরিকল্পনা বাংলাদেশের বিপক্ষে রয়ে সয়ে খেলতে হবে। সুনীতা, সুমতি, কাজল, হেমা, নিতু, অপুর্ণা, মার্টিনা, শুভাঙ্গীদের ফুটবল ছিল হিসেবি। ভুটানের বিপক্ষে ভারত জিতেছিল ১২-০ গোলে। সেই ক্ষিপ্রতা দেখাননি ভারতীয় ফুটবলাররা। বাংলাদেশের আফিদা, রিপা, অধিনায়ক শামসুন নাহার, সোহাগী কিসকু, উন্নতি খাতুন, আকলিমা, ইতি, নাসরিনদের ফুটবল ভালোই ছিল। সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু গোল মুখে গিয়ে নিজেরাই হারিয়ে গেলেন। বরং খেলার শুরুতে ভারতের কয়েকটি আক্রমণ ছিল ভয় পাওয়ার মতোই। বাংলাদেশের গোলকিপার রূপনা চাকমা সেই আক্রমণ থামিয়েছেন বুকে বল নিয়ে। কর্নার পেয়েছিল বাংলাদেশ। একটিও ভারতের গোলমুখে কাঁপন ধরাতে পারেনি। গোলকিপার আনসিকা সহজেই গোলপোস্ট আগলে গেছেন। খেলা শেষে কোচও তার খেলোয়াড়দের হাততালি দিয়ে ভালো খেলার জন্য অভিনন্দন জানান। আর বাংলার ফুটবলারদের খেলা দেখে কমলাপুর স্টেডিয়ামে শ পাঁচেক দর্শকও খুশি মনে বাড়ি গেলেন।   

এর আগে দিনের প্রথম খেলায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল ও ভুটান। এ ম্যাচে ৪-০ গোলে জয় পায় নেপাল।

ইত্তেফাক/এসএস