বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খাদ্য বিভাগের পে-অর্ডার জালিয়াতি

ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৩

বরিশাল জেলা খাদ্য বিভাগে খাদ্য সামগ্রীতে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর কাজে জামানত হিসেবে গৌরনদীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দেওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার ১১টি পে-অর্ডার ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়েছে। 

জেলা খাদ্য অফিসের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী এবং অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আলী রেজাকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকের বাটাজোর শাখার সাবেক ম্যানেজার আলী রেজার সহযোগিতায় পে-অর্ডার জালিয়াতি করেন গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। ১১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে জামানত বাবদ ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকা দেওয়া হলেও সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে ৭ হাজার ২ শ’ টাকা। 

এলাহী এগ্রো লিমিটেড খাদ্য বিভাগের খাদ্যে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এ কাজে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ১১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার জামানত দেয় এলাহী এগ্রো লিমিটেড। যা যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়। খাদ্য বিভাগে জমা হওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার পে-অর্ডারের প্রকৃত মূল্য মাত্র ৭ হাজার ২ শ’ টাকা। ১শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার জালিয়াতি করে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৪ টাকা দেখানো হয়েছে। ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার যাচাই করে পাওয়া গেছে ২শ টাকা। বাকি ৯টি পে-অর্ডারও জালিয়াতি করে খাদ্য বিভাগে জমা দেয় এলাহী এগ্রো। এছাড়াও ফরহাদ হোসেনের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত। 

মিল মালিক ও গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী জানান, পে-অর্ডার যাচাই বাছাই করে খাদ্য বিভাগ তার প্রতিষ্ঠানকে পে-অর্ডার দিয়েছে। পে-অর্ডার জালিয়াতির ঘটনা সঠিক নয়।

ইত্তেফাক/পিও