সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) ভয়াবহ ভূমিকম্পের সুযোগ নিয়ের অন্তত ২০ জন বন্দী সিরিয়ার কারাগার থেকে পালিয়েছে। তাদের সবাই আইএস জঙ্গি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার রাজো শহরে মিলিটারি পুলিশ কারাগারে প্রায় দুই হাজার বন্দী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। কারাগারে কুর্দি নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর অনেক যোদ্ধাও রয়েছেন।
রাজো কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজো কারাগার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, বন্দীরা বিদ্রোহ শুরু করে এবং কারাগারের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। সেখান থেকে প্রায় ২০ জন বন্দী পালিয়ে গেছে। তারা আইএস জঙ্গি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। গত শতাব্দীতে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি একটি বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (আফাদ) মতে, দেশটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯২১। এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া দামেস্ক সরকার ও উদ্ধারকর্মীদের সম্পর্কে জানিয়েছে, সিরিয়ায় কমপক্ষে এক হাজার ৪৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছে।
আরও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধসে পড়া ভবনের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় সিরিয়া জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশকে উদ্ধার কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রিত ও বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাসাম সাব্বাগ সাংবাদিকদের বলেছেন, 'জাতিসংঘ মহাসচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা এই কঠিন পরিস্থিতিতে সিরিয়াকে যথাসম্ভব সাহায্য করবে। সাহায্যের অনুরোধ জানিয়ে সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি আমি আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে পাঠিয়েছি।'
বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিক সারাহ এল দিব জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় অন্তত ২৪৪টি ভবন ধসে পড়েছে। আরও ৩২৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।