সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

সৌদিতে চাকরিতে পাঁচ খাতে দক্ষতা সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:১৯

সৌদি আরবে পাঁচটি খাতে বিদেশিদের কাজ করতে হলে ঐ দেশের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ঐ খাতগুলোতে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশিদের পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে হবে। এই পাঁচটি খাত হচ্ছে প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবিল, ইলেকট্রিশিয়ান এবং এসি মেকানিক। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি দূতাবাসে স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন যদি ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল হয়ে থাকে, তবে  দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল। এর মাধ্যমে তারা বেশি বেতন আয় করতে সক্ষম হবে।’

এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানলর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ঐ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এজন্য শ্রমিকদের কোনো অর্থ প্রদান করা লাগবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ ধরনের পরীক্ষা ভারত ও পাকিস্তানে চালু হয়েছে। প্রথাগত শ্রমিকদের এ ধরনের কোনো পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না। কিন্তু ঐ পাঁচটি খাতে সৌদি আরবে কাজ করতে হলে সার্টিফিকেট লাগবে।’

এই সার্টিফিকেটের সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জনশক্তিতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের লাভ আছে। দ্বিতীয়ত, সার্টিফিকেটপ্রাপ্তরা অন্য দেশের শ্রমিকদের থেকে বেশি সক্ষম হবে। তৃতীয়ত, তারা বেশি আয় করার সুযোগ পাবে।’ পরীক্ষায় কী কী বিষয় থাকতে পারে প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরবি ভাষা ও কিছু রীতি-নীতি এবং তারা নতুন যন্ত্রপাতি যেমন—মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা, সেটি আমরা দেখব।’

 

ইত্তেফাক/ইআ