দখল ও দূষণের কারণের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পৌর সদরের বহমান খালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। প্রায় দুইশ বছরের পুরনো এ খালটি কামারপট্রি খাল নামে পরিচিত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার পৌরসদর চার ওয়ার্ডসহ সদর ইউনিয়নের খালের পার্শ্ববর্তী পাঁচ সহস্রাধিক লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খালের সুবিধাভোগী। এক সময়ে খরস্রোতা ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল দিয়ে নৌকা ও ট্রলার চলাচল করতো। ২০ বছর আগে খালে অপরিকল্পিতভাবে একটি বাঁধ দেওয়া নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে খালের পানি নির্ভর এলাকাবাসী। ব্যাহত হয় কৃষি কাজ। পরে যদিও দুর্ভোগ লাঘবে বাঁধ অবমুক্ত করা হয়েছিল। আর দীর্ঘবছর পর খাল অবমুক্তর আগে খালের নাব্যতা চরমভাবে হ্রাস পায়। পাশাপাশি দখল হতে থাকে। বাড়তে থাকে দূষণ। পানি হয়ে পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী। এ কারণে শত শত পরিবার পর্যাপ্ত পানির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তারা জানান, পারিবারিক ও কৃষিকাজে এ খালের পানিই তাদের একমাত্র ভরসা ছিল। তবে বর্তমানে অবস্থান থেকে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ভরাট করা দখল খালের পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধের পায়তারা করছে।
এদিকে, অবৈধ দখলও পানির সংকটরোধে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে শিমুল খলিফা নামে স্থানীয় একজন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে খাল ভরাট করে নির্মানাধীন একটি স্থাপনা ভেঙে দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, সরকারি খাল ভরাটকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরিদিকে, ভরানি খালটি দখল ও দূষণমুক্তসহ খনন করে নৌ চলাচল স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি খালটি পুরোপুরি অবমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।