মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জিলাপি ভাগ করা নিয়ে সালিশ, সংঘর্ষে আহত ১০ কৃষক

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৩

নাটোরে জিলাপি বণ্টন করা নিয়ে কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় ডাকা সালিশের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ও উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০ কৃষক-শ্রমিক আহত হয়। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুরুদাসপুরের আনন্দনগর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ফসলি জমির কাজ শেষে বুধবার সন্ধ্যায় ২০ জন কৃষক পাঁচশ টাকা বকশিস পান। বকশিসের টাকায় কৃষকদের দলনেতা আব্দুল খালেক মাথা পিচু ২৫০ গ্রাম করে জিলাপি কেনেন। জিলাপির প্যাকেট বন্টন নিয়ে দলনেতা আব্দুল খালেকের সঙ্গে কৃষক মোশারফের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য স্থানীয় সাজেদুর রহমান সাজুর সভাপতিত্বে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। কৃষক দলনেতা আব্দুল খালেক আনন্দনগর মহল্লার খাদেম আলীর ছেলে এবং মোশারফ একই মহল্লার বার্শেদ ফকিরের ছেলে।

আহত আব্দুল মালেক ও মানিক ফকিরকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা দুজনই আশঙ্কামুক্ত। এতে জাহিদুল, মাহবুব, মালেক, আশিক নামের আরও ৮ জন আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
 
এদিকে সালিশি বৈঠকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আলহাজ সিদ্দিকুর রহমানসহ উভয়পক্ষের ২ শতাধিক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় করমর্দনের মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসার রায় দেওয়া হয়। রায়টি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, খড়ের গাদায় আগুন ও ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১০ কৃষক আহত হয়। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ফজল ইত্তেফাককে জানান, কৃষকদের জিলাপি বণ্টনের ছোট ঘটনাটি হাতাহাতির পর্যায়ে গড়িয়েছিল। বিষয়টি সেখানেই শেষ করতে তার মধ্যস্থতায় সালিশ বসানো হয়েছিল। কিন্তু রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় হট্টগোল থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
  
আহত কৃষক আব্দুল মালেক জানান, রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনার সময় আব্দুল কুদ্দস ফকিরের নির্দেশে দুলাল, বজলার, মানিক, মোশারফ, সাদ্দাম, আলাল তাকেসহ তার স্বজনদের মারপিট করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল কুদ্দুস ফকির ইত্তেফাককে জানান, মাহবুর, খালেক আশিকের নেতৃত্বে তাদের আক্রমণ করে আহত করা হয়েছে। নিজেরা খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে তাদের ফাঁসাতে চেয়েছিলেন।

গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন ইত্তেফাককে জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। কোনো পক্ষই অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/পিও