কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকায় মিছিল করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কর্মসূচি পালনের সময় বরমীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কার্যালয়ের প্লাস্টিকের চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বিএনপির কথিত কর্মী পরিচয়ধারী জাহিদ নামে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচু করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এবং চারজন ছাত্রলীগ কর্মীর মাথায় পিস্তল তাক করে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে শ্রীপুর থানার ওসি অস্ত্র উঁচু করে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ইত্তেফাককে জানিয়েছেন। এদিকে অস্ত্র উঁচু করে হুমকির একটি ৪ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।
অভিযুক্ত অস্ত্রধারী জাহিদ (২৮) পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মৃত সাইফুর রহমানের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জমি কিনে বাড়ি করে থাকেন বলে স্থানীয়রা জানায়। সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থক বলেও জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, অস্ত্রধারী জাহিদ বিএনপির কেউ নয়।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য খন্দকার হারুন অর রশিদ বলেন, সকাল আনুমানিক সোয়া দশটার দিকে বরমী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে এলোপাতাড়ি মিছিল সহকারে এসে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় বিএনপির পরিচয়ধারী জাহিদ আগ্নেয়াস্ত্র উঁচু করে উপস্থিত নেতা-কর্মীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এবং কার্যালয়ের আশপাশে থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে মারধরও করে। অস্ত্রধারী জাহিদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সজিব আহমেদ, পিয়াল, তারেক নূরী ও তরিকুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন প্রধান বলেন, আমি ১৫ বছর যাবৎ ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বে রয়েছি। অস্ত্রধারী জাহিদ নামে আমার কোনো কর্মী-সমর্থক নেই। আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কারো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে এ অস্ত্রধারী ইতিমধ্যে আমার নজরে এসেছে। অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পরপরই লাপাত্তা অস্ত্রধারী জাহিদ।