ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, জানিয়েছে সাউ পাউলো রাজ্য কর্তৃপক্ষ। কয়েক শ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা হতাহত ব্যক্তিদের খোঁজ করছেন। বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয় যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাস্তাগুলো যান চলাচলের উপযোগী করতেও চেষ্টা চলছে। ব্রাজিলের বার্ষিক উৎসব উদযাপনের জন্য অনেক পর্যটক এ সময় দেশটিতে ভ্রমণ করছিলেন। তাঁদের অনেকেই আটকা পড়েছেন।
টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, সান সেবাস্তিও শহরের পুরো আশেপাশের এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং পাহাড়ঘেঁষা ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ পানিতে ভেসে যাচ্ছে। মহাসড়কগুলো পানির নিচে এবং গাছপালা উপড়ে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে সন্ধান অব্যাহত রেখেছেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোর সঙ্গে ফের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন, এগুলোর মধ্যে কিছু এখনও অবরুদ্ধ হয়ে আছে আর তাতে ব্রাজিলের কার্নিভাল উৎসবে যোগ দিতে দেশটিতে যাওয়া অসংখ্য পর্যটক আটকা পড়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা আবহাওয়া পরিস্থিতিকে চরম ও নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। এ অবস্থায় ছয়টি শহরের জন্য ১৮০ দিনের দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে সাউ পাউলো রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুয়িজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টে বলেছেন, সোমবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে যাবেন তিনি।