বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে আর কোনো পানশালা থাকবে না। মদ বিক্রির দোকান থাকবে। কিন্তু, মদ খেতে হবে বাড়িতে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সিদ্ধান্ত, রাজ্যজুড়ে পানশালা বন্ধ হবে। তবে গুজরাটের মতো মদ বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে না।
মদ বিক্রি হবে, কিন্তু প্রকাশ্যে খাওয়া চলবে না। মদ্যপান করতে চাইলে বোতল কিনে বাড়িতে বসে করতে হবে। তাতে কোনো বাধা নেই। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আর কোনো পানশালা থাকবে না।
এমনিতেই শিবরাজ সিং চৌহানের নীতি মেনে, ২০১০ সালের পর থেকে রাজ্যে নতুন করে কোনো মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়নি। যে দোকানগুলো আছে, নর্মদা সেবা যাত্রার সময় তার অনেকগুলোই বন্ধ থাকে।
নরোত্তম জানিয়েছেন, আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ৫০ মিটারের মধ্যে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হতো না। এখন ঠিক হয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানের একশ মিটারের ভিতর মদের দোকান থাকবে না।
এই বছরের শেষে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হবে। দিন কয়েক আগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী মধ্যপ্রদেশে মদ বিরোধী অভিযান শুরু করেন। তিনি রাজ্য সরকারকে জানান, মানুষ মদ খাবে, সরকার রাজস্ব পাবে বলে মদ সংক্রান্ত উদার নীতি নেবে, এটা চলবে না।
তার দাবি, নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান নীতি নিতে হবে। উমা ভারতী ওরছায় একটি পানশালার সামনে দুইটি গরু বেঁধে দেন। তারপর তিনি পানশালায় গোবর ছুঁড়ে মারেন। তার প্রচারের নাম ছিল, মধুশালা সে গোশালা। তার মানে সব পানশালাকে গোশালায় পরিবর্তিত করতে হবে।
মানুষ যেন মদ না খান, তার জায়গায় দুধ পান করেন। নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, সরকার চায়, মানুষ যেন মদ্যপান না করে।