অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর জীবন ও কর্মের ওপর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক সাহিত্য সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে কালজয়ী ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর জন্মভিটায় অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মননা প্রদান করা হয়। তাকে উপহার হিসেবে সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, একটি কলম এবং নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফেরদৌস মিয়া, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম, কথাসাহিত্যিক ও অদ্বৈত গবেষক মানিকরতন শর্মা।
সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ‘অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩’ এর আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. আ. কুদ্দূস।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনা করেন আবরণি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সঙ্গীত পরবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩’ এর আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আমির হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মনিরুল ইসলাম। মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ লিখে বাংলা সাহিত্যে অমরতা লাভ করেছেন। তিনি বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভিটায় অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্তৃক তিন দিনব্যাপী ‘অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩’ সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ‘অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি জয়দুল হোসেন, ভারতের ত্রিপুরার কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, গৌরি বর্মণ, অদ্বৈত গবেষক কবি আমীর হোসেন, মানিকরতন শর্মা, মো. আব্দুর রহিম, সোপানুল ইসলাম সোপান ও মানবর্দ্ধন পাল।