শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পিসিবির চেয়ারম্যান হতে চান শোয়েব আখতার

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৭

ক্রিকেটার হিসেবে মনের মধ্যে যখন দেশের ক্রিকেটের সেবা করার খায়েশ রয়েছেই, তখন ছোটখাটো পজিশনে কাজ করার স্বপ্ন দেখে লাভ কী! একলাফে ক্ষমতার মগডালে চড়ে বসতে পারলেই তো সেবা করার পথটা সহজ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার সেই পথই ধরেছেন। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন করতে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস সরাসরি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হতে চান। বোর্ড প্রধানের চেয়ারে বসে দেশের ক্রিকেটে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিতে চান। উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে বের করে আনতে চান ২ হাজার তারকা ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কার শোয়েব আখতার নিজেই পিসিবির চেয়ারম্যান হওয়ার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কারো। বল হাতে গতির ঝড় তুলে ব্যাটসম্যানদের নাকেমুখের জল এক করে ছেড়েছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দ্রুতগতির বোলারদের আসনে।

৪৭ বছর বয়সি শোয়েব নিজের খেলোয়াড় জীবনের সেই অভিজ্ঞতা ঢেলে দিতে চান পাকিস্তানের উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে। সেই স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেই শোয়েব আখতারে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে চাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক অনেক তারকা ক্রিকেটার তুলে আনতে চাই। প্রথমে লক্ষ্য থাকবে ৫০ জন তারকা ক্রিকেটার তুলে আনা, পরে সেটা বাড়িয়ে ১০০, ২০০ থেকে ২ হাজার তারকা ক্রিকেটার তুলে আনতে চাই।’

শুধু সর্বোচ্চ চেয়ারে বসে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের স্বপ্ন আঁকানো নয়, সাক্ষাত্কারে নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে অন্যের সমালোচনাও করেছেন শোয়েব। পাকিস্তানের সাবেক এই গতি তারকার তিরে বিদ্ধ হওয়া সেই অন্যজন হলেন পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম। না, ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে নিয়ে কোনো সংশয় নেই শোয়েবের মনে। কিন্তু বাবর আজম নাকি পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘ব্র্যান্ড’ হতে পারেননি। কেন? কারণ, বাবর নাকি কথা বলতে পারেন না। মানে ইংরেজি বলতে পারেন না আর কি!

শোয়েব বাবর আজমকে সরাসরিই হুল ফুটিয়ে বলেছেন, ‘ক্রিকেট খেলা একটা কাজ। সংবাদমাধ্যম সামলানো আরেকটা কাজ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, যদি কথা বলতে না পারো, টিভির সামনে মুখ খোলার কোনো অধিকার তোমাদের নেই।’

ইত্তেফাক/এসকে