শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

তুরস্কে ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত, গ্রেপ্তার ১৮৪

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৪

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বহু ভবন ধসে পড়েছে। ভবন ধসে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আঙ্কারা। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির এক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তুরস্কে ক্ষোভ বাড়ছে। শুধু তুরস্কে গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৪৪ হাজার ১২৮ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী সিরিয়াসহ মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। 

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এই ভূমিকম্পই দেশের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সেখানে এক লাখ ৬০ হাজার বিল্ডিংয়ের পাঁচ লাখ ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদাগ জানিয়েছেন, ভবন ধসের ঘটনায় ৬০০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। 

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবাকিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এটি তুরস্কের ১০টি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে একটি। তিনি আরও জানান, আটককৃতদের মধ্যে ভবনের মালিক, ঠিকাদার ও ব্যবস্থাপক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

ভবন ধসের ঘটনায় ৬০০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। 

তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই বিচার শুরু হবে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৭৯ জন ঠিকাদার, ৭৪ জন নির্মাণ লঙ্ঘনকারী, ১৩ জন সম্পত্তির মালিক এবং ভবন পরিবর্তনকারী ১৮ জন। এ ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। 

প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান, তার দুই দশকের শাসনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, আবাসন পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিপর্যয়ের প্রায় তিন সপ্তাহ পরও তুরস্কে কোনো চূড়ান্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। 

প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান, তার দুই দশকের শাসনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, আবাসন পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন মৃতদেহ আটকে থাকতে পারে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি দেশটির কর্মকর্তারা। এদিকে, ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

ইত্তেফাক/ডিএস