বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭ সালের মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে অনিয়মের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি পরীক্ষকের বিস্তারিত নম্বরপত্র ছাড়াই ২০১৭ সালের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তৎকালীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক ও নিখিল চন্দ্র বর্মন এ ফল প্রকাশ করেন। এমন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ড. মোর্শেদ হোসেনকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ থেকে সরিয়ে বাংলা বিভাগের ড. নাজমুল হককে দায়িত্ব প্রদান করে বেরোবি প্রশাসন। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নাজমুল হক পুনরায় ফল প্রকাশের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ দুই বছরেও ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষকের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এমন অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করে লিখিত অভিযোগ দেয় বেরোবির সুরক্ষা পরিষদ। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগেও তথ্য গোপন করে পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিলো উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্ত করে ৪ সদস্যের কমিটি সামসুল হকের অসতর্কতা ও অসেচতনতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলো। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বাংলা বিভাগের ড. নিতাই কুমার ঘোষকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ড.নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে একটি মিটিং হয়েছে। তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মতিউর রহমান বলেন, শুনেছি এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাইনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তদের নিয়ে বসবো। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।