বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

গ্রিস ট্রেন দুর্ঘটনা: বিক্ষোভে নেমেছেন প্রতিবাদকারীরা 

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৮:০১

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর গ্রিসে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দুর্ঘটনাটি পরিকল্পিত। এথেন্সে গ্রিসের রেলওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী কোম্পানি হেলেনিক ট্রেনের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেসালোনিকি ও লারিসা শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্বাধীন তদন্ত করলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। এদিকে, দুর্ঘটনার পর গ্রিসের পরিবহনমন্ত্রী কোস্তাস কারামানলিস পদত্যাগ করেছেন। 

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর গ্রিসে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

পদত্যাগকে কর্তব্য ও রাজনৈতিক দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি এই পদত্যাগকে দেশের গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী বিষয় বলে মনে করি। যাতে নাগরিকরা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আস্থা রাখে। এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর কেউ বসে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারে না।' 

গত মঙ্গলবার গ্রিসের লারিসা শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনে প্রায় আড়াইশ যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় ৪৩ জন মারা যান। অনেকে আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। যাত্রীবাহী ট্রেনের সামনের বেশির ভাগ বগি ধ্বংস হয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেসালোনিকি ও লারিসা শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এথেন্স থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উত্তরে দুর্ঘটনার পর ট্রেনের অন্তত তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়। লাইনচ্যুত হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। উদ্ধার তৎপরতা পর্যালোচনা করতে বুধবার (১ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরাকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন, 'মানবিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।' দুর্ঘটনার পর গ্রিসে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/ডিএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন