সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ, মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা

আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:২২

বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। শনিবার (৪ মার্চ) রাতে তারা ধুনট থানায় এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন।

অভিযোগে রফিকুলের বাবা ফজলুল হক দাবি করেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বেলাল হোসেন ইজারাকৃত মহালের বাইরে গিয়ে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছিলেন। এতে তাদের ফসলি জমি ও বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মহালের বাইরে বালু তুলতে বাধা দেওয়ায় বেলাল ও তার লোকজন রফিকুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। 

এদিকে একই দিন বিকালে যুবলীগ নেতা বেলাল বাদী হয়ে রফিকুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বেলালের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় শনিবার দুপুরে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় রফিকুল ও তার লোকজন বালু উত্তোলনে নিয়োজিত শ্রমিকদের মারধর, মেশিন ও নৌকা ভাঙচুর করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন ৪০ লাখ টাকায় উপজেলার যমুনা নদীর চৌবেড় মৌজার বালু মহালটি জেলা পরিষদ থেকে ছয় মাসের জন্য ইজারা নিয়েছেন। তিনি ২০২২ সালের ২ অক্টোবর থেকে সেখানে বালু উত্তোলন করছেন। শনিবার দুপুরের দিকে বেলাল বালু উত্তোলন করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তাকে বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলাল হোসেন ও তার লোকজন রফিকুল ইসলামকে মারধর করেন। আহত রফিকুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় রফিকুলের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে বেলালসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেলাল যমুনা নদীর ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছিল। এতে আবাদি জমি, বসতভিটাসহ বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। এ কারণে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিলে বেলাল ও তার লোকজন পিটিয়ে আহত করেছে। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। বেলাল বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

অপরদিকে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, ইজারাকৃত মৌজার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়নি এবং রফিকুল বা তার লোকজন কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বরং চাঁদার টাকার না পেয়ে রফিকুল ও তার লোকজন শ্রমিকদের মারধর করেছে। একইসঙ্গে মেশিন ও নৌকা ভাঙচুর করেছে।

ধুনট থানার এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মারধর ও চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও