নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য দু’জন সদস্যসহ শতাধিক অভিভাবক বোর্ড চেয়ারম্যান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বিধি অনুয়ায়ী দাতা সদস্য পর পর চতুর্থ বার সভাপতি হতে পারেন না। সেজন্য প্রধান শিক্ষক নাজমুল ইসলামকে লিজা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর ভুয়া অভিভাবক দেখিয়ে ভোটার তালিকাভুক্ত করেন। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশ করে নির্বাচনের পরিবর্তে গোপনে সিলেকশনের মাধ্যমে নাজমুলকে সভাপতি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী লিজা আক্তারের প্রকৃত অভিভাবক লাবলু মিয়া। বিদ্যালয়ে দাখিলকৃত জন্মসনদ অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল। কিন্তু অভিযুক্ত নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয় ২০১১ সালের ২৯ আগষ্ট। তাই নাজমুল ইসলাম কোনো ক্রমেই লিজা আক্তারের অভিভাবক হতে পারে না।
এছাড়া, গত মাসে বিদ্যালয়ের আয়া, নৈশ প্রহরী ও অফিস সহায়ক নিয়োগে সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও দাতা সদস্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, জন্ম সনদ অনুযায়ী লিজা আক্তারের অভিভাবক বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। প্রকৃত অভিভাবক কিনা সেটা জানি না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, লিজা আক্তারকে তার মেয়ে। বিয়ের প্রায় দেড় বছর আগে শিক্ষার্থী লিজা আক্তারের জন্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিয়ের কাবিন আছে আপনার কাছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।