শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

স্বপ্ন তার দশ হাজার!

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৪০

শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না—এটি বাস্তবে পরিণত করাই একজন সফল ব্যক্তির কাজ। সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এক স্বপ্নবাজ ডাক্তার। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষ করে কেউ বিসিএসের জন্য লড়াই করে, কেউ দেশের বাইরে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পাড়ি দেয় আবার কেউ-বা সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু খুব কম মানুষই আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমা পেরিয়ে প্রথম ধাপেই উদ্যোক্তা হওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে পা বাড়ায়।

ঠিক এমনই একজন ডাক্তার সাহস করে পরিবার ও প্রতিবেশির তীর্যক মন্তব্য কথা কানে না নিয়ে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ধীরে ধীরে সামনে এগোতে থাকেন।

তার এ পথচলার ১৮ বছর শেষে তার সাথে আজ জড়িয়ে আছে ৫০০ পরিবার।

স্বপ্ন তার দশ হাজার পরিবারকে এই প্রতিষ্ঠনের সাথে যুক্ত করবেন। সেই লক্ষ্যে অবিরাম নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

ডক্টরস এগ্রোভেট লি. প্রতিষ্ঠানটি পণ্য হিসেবে মূলত দেশের ‘এনিমেল ফিড সাপ্লিমেন্ট’ নিয়ে কাজ করছে। দেশের প্রাণিজ আমিষকে সহজলভ্য করতেই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষের  জীবনের মান উন্নত করাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। সম্মান এবং আস্থার সাথে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৭০টির অধিক পণ্য বাজারজাত করছে।

বর্তমানে দেশের ৩৩৫টি উপজেলায় আস্থা ও সততার সাথে কাজ করে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ভারত ও নেপালে তাদের পণ্য রপ্তানি করা শুরু করেছে।

ভাসটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের মতে, এ প্রতিষ্ঠান অতি অল্প সময়ে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যেভাবে সামনে এগোচ্ছে, ভবিষ্যতে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য সহজলভ্য করতে দশ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করবে।

ডক্টরস এগ্রোভেট লি.’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আর কে রাফি মনে করেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশের সর্ববৃহৎ কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে তার এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি মূলত বাংলাদেশের গবাদিপশু, পোল্ট্রি ও মত্স্য— এ তিন সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটাতে ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি সপ্তাহে ভেটেরিনারি ডাক্তার দ্বারা গ্রামের মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন—কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গবাদি পশু, পোল্ট্রি ও মত্স্য পালন করা যায় এবং কী পদ্ধতি অবলম্বন করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

ইত্তেফাক/এসটিএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন