শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

তরুণ চিত্রশিল্পী করিম

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩, ১২:২৫

আর করিম একজন তরুণ চিত্রশিল্পী। যদিও চিত্রশিল্পের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই তার। কক্সবাজারের মহেশখালীতে তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। করিম বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী।

অবশ্য আঁকাআকি তার নেশা। তিনি রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মহেশখালী উপজেলা শাখার সদস্য। তিনি গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে শিখেছেন। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন তখন নিজের আগ্রহ বোঝার মতো বয়সও হয়নি।

পাঠ্য বইয়ের ছবি তার আঁকার উৎস। ছবি আঁকার বইটি তাকে খুব আকর্ষণ করত। সেই থেকে চেষ্টা ও পরিশ্রম করেই যাচ্ছেন এই তরুণ শিল্পী।

তিনি বিশ্বাস করেন কোনো নির্দিষ্ট সীমার ভেতরে থাকা তাকে মানায় না। আর এ উপলব্ধি থেকেই আঁকাআঁঁকির পাশাপাশি পাতা বা যেকোনো বস্তুতে শিল্পকর্ম তৈরির প্রয়াস তার।

প্রকৃতির পরিবর্তনই এ শিল্পীর কাছে অর্জন বলে মনে হয়। দিন দিন নতুন কিছু শেখা, তার সাথে পরিচিত হওয়াই তার কাছে পরিবর্তন। এ শেখাই অর্জন। করিমের কাছে ছবি এঁকে অর্থ উপার্জন করা অর্জন নয়। মানুষের ভালোবাসাই তার বড় অর্জন। এ অর্জনই তিনি ধরে রাখতে চান। তার অর্জনগুলো দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিরতিহীন এঁকে চলেছেন।

তার কাছে নিজের সব কাজই উল্লেখযোগ্য। তবুও তার মধ্যে পেন্সিলে আঁকা কবি নির্মলেন্দু গুণের ছবি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যেটি কবি তার অনুমতি নিয়ে কবিতাকুঞ্জ বইয়ে ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া আইয়ুব বাচ্চু, আনিসুল হক, হুমায়ুন ফরীদি, শিমুল মুস্তাফা, সৈয়দ শামসুল হক, জীবনানন্দ দাশ, কাজী নজরুল ইসলাম, মান্না দে, ভুপেন হাজারিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ গ্রামবাংলার কিছু ছবি উল্লেখ করার মতো।

তার দাবি, আজ পর্যন্ত তিনি সুরসম্রাট মান্না দে’র যত ছবি এঁকেছেন তা আর কেউ আঁকেননি। জানা যায়, তার প্রায় শতাধিক ছবি এঁকেছেন এ তরুণ চিত্রশিল্পী। 

যোগ্যতার বাইরে স্বপ্ন দেখেন না করিম। এমনকি চারুকলায় পড়তে না পারলেও কোনো আক্ষেপ থাকবে না। তার ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা একটাই— ছবি এঁকে যাওয়া। তিনি মনে করেন, এখন তাকে দিয়ে ছবি আঁঁকা ছাড়া আর কোনো কাজ হবে না।

ইত্তেফাক/এসটিএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন