কুখ্যাত মাদক সম্রাট পাবলো এসকোবারের মৃত্যুর ৩০ বছর পরেও তার রেখে যাওয়া শখের জলহস্তীগুলো কলম্বিয়াকে বেকায়দায় ফেলছে। প্রায় ১ বছর ধরে অতিরিক্ত জলহস্তীগুলোকে ভারত ও মেক্সিকো স্থানান্তরের পরিকল্পনা চলছে।
আপাতত ৭০টি জলহস্তী দেশ দুইটির চিড়িয়াখানা ও অভয়ারণ্যে পাঠানো হবে বলে কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারতে ৬০টি আর মেক্সিকোয় ১০টি পাঠানো হবে। শখের বসে ১৯৮০ এর দশকে অবৈধভাবে আফ্রিকা থেকে ৪টি জলহস্তী এনেছিলেন এসকোবার।
তার খামারবাড়ি থেকে বংশবিস্তার করেছে জলহস্তী। ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর এসকোবারের খামারবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। খামারবাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে গেলে জলহস্তীরা অবাধে বংশবিস্তার করে। এখন তাদের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা এখন কলম্বিয়া সরকারের মাথা ব্যথার কারণ।
এমন পরিস্থিতিতে, গত বছর কলম্বিয়া জলহস্তীগুলোকে 'বিষাক্ত ও আক্রমণাত্মক প্রজাতি' হিসেবে ঘোষণা করে। এদিকে বিজ্ঞানীর সতর্ক করে বলেছেন, কলম্বিয়ার জলহস্তী জীব বৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদের মল নদীর পানিকে দূষিত করে, যা অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য সংকট তৈরি করতে পারে।
বিশাল আকৃতির একেকটি জলহস্তীর ওজন প্রায় ৩ টন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জলহস্তীগুলোকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বড় আকারের লোহার খাঁচায় আটকে ট্রাকে করে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে ভারত ও মেক্সিকোর পশু অভয়ারণ্য ও চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে।
যেসব জলহস্তীগুলো খামারবাড়ির বাইরে বাস করছে মূলত সেগুলোকেই স্থানান্তর করা হবে। কারণ, সেগুলো বড় ধরনের হুমকি। আশা করা হচ্ছে, ৭০টি জলহস্তী ভারত ও মেক্সিকোয় পাঠানোর পর তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে।
কিছু জলহস্তী ইকুয়েডরেও পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, বোতসওয়ানা ও ফিলিপাইন্সও কলম্বিয়ার জলহস্তী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।