বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ঘরের কাজের জন্য সাবেক স্ত্রীকে ২ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:২০

একজন স্ত্রীর গৃহপরিচারিকার কাজেরও আর্থিক মূল্য আছে। আর এবার বিষয়টি স্পষ্ট করে দেখাল স্পেনের একটি আদালত। গত ২৫ বছরের অবৈতনিক গৃহকর্মের মূল্য হিসেবে এক ব্যক্তিকে তার সাবেক স্ত্রীকে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ১২৬ টাকা (২ লাখ ৪ হাজার ৬২৪ ইউরো) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খবর বিজনেস টুডের। 

গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দাখিল করা আদালতের নথি অনুসারে, আদালত ন্যূনতম মজুরির ভিত্তিতে এ মূল্য নির্ধারণ করেন। স্পেনের দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলের একটি আদালত রায়ের পাশাপাশি এই আদেশ দিয়েছে। দম্পতি ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুই মেয়ে আছে। 

একজন স্ত্রীর গৃহপরিচারিকার কাজেরও আর্থিক মূল্য আছে।

বিয়ের সময় থেকেই তাদের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল যে তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব আয় উপার্জন করতে হবে। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে বাইরে কাজ করতে দেননি এবং বছরের পর বছর ধরে তার উপার্জিত অর্থ বা সম্পদের কোনো অংশ স্ত্রীকে দেননি।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই গৃহকর্মীর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তিনি একাই সংসারের সবকিছু দেখাশোনা করতেন। পরবর্তীতে, আইনি নথিগুলো ১৯৯৫ সালের জুন থেকে ২০২০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত প্রতি বছর কত উপার্জন করতেন ওই ব্যক্তি তার একটি হিসাব দেখায়।

বিয়ের সময় থেকেই তাদের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল যে তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব আয় উপার্জন করতে হবে।

ওই ব্যক্তিকে তার সাবেক স্ত্রীকে ২৫ বছরের মজুরির পাশাপাশি মাসিক ভরণপোষণ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং অন্যজন নাবালক। 

ক্যাডেনা সের রেডিওর সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারে ওই নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছিলেন, তার স্বামী তাকে 'বাড়ির বাইরে' কাজ করতে দেন না। যাইহোক, তার স্বামী তাকে তার মালিকানাধীন জিমে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। 

ওই ব্যক্তিকে তার সাবেক স্ত্রীকে ২৫ বছরের মজুরির পাশাপাশি মাসিক ভরণপোষণ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়া ঘরের কাজে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করেছি। আমি আমার স্বামী ও বাড়ির যত্ন নিতাম। আমাকে দিয়ে ঘরের কাজ করাতে বাধ্য করেছিলেন। কারণ আমি এমন একটা জায়গায় ছিলাম যেখানে আমি সত্যিই আর কিছু করতে পারিনি।'

ইত্তেফাক/ডিএস