শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সিনেট সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ২০:০৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অতিথি ও সিনেট লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে পিটুনির শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন। 

শুক্রবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ৩২তম ব্যাচের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মীরা মঞ্চে উঠার চেষ্টা করলে আয়োজকরা তাদের বাধা দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চে থাকা লিটন নামের একজনকে মারধর শুরু করে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সোহেল পারভেজকেও লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

মারধরের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী ২০-২৫ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে সহসভাপতি কেএম রহমান জাকারিয়া, জাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন রনি, উপ-ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক অরবিন্দ ভৌমিক, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সবুজ রায়, উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক উৎস দত্তের নাম পাওয়া গেছে।

প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, আমি দেখতে পেলাম কিছু ছেলে মিলে একজনকে মাটিতে ফেলে মারধর করছে। পরিচয় দিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে আমাকেও মারধর শুরু করে।

জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন বলেন, ঘটনার সময় দর্শক সারিতে ছিলাম। হঠাৎ করেই কিছু ছেলে মঞ্চে উঠে মারধর শুরু করে। সোহেল ভাইসহ ঘটনা থামাতে গেলে আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো চড়াও হয়।

সিনেট সদস্য সোহেল পারভেজ বলেন, তারা একজনকে মারধর করলে আমরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছি। তাদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও