বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে রকাশিত জয়ন্তী রায় এর ‘মেঘনা পাড়ের মেয়ে’ এবং রঞ্জনা বিশ্বাস এর ‘মেম্রি’ বই নিয়ে আলোচনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৫ মার্চ) ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
আলোচক হিসেবে ছিলেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অন্যতম পরিচালক শ্রীমতী সাহা এবং লেখক ও গবেষক ড. অশোক বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
জয়ন্তী রায় তার জীবনের অম্লমধুর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার তুলে ধরেছেন ‘মেঘনা পাড়ের মেয়ে’ গ্রন্থে। রঞ্জনা বিশ্বাস এর ‘মেম্রি’ উপন্যাসে বেদে গোষ্ঠীর জীবনবোধ তুলে ধরা হয়েছে। নিজেদের ঐতিহ্য ও আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝের দন্ধ, টানাপোড়নের আখ্যান এই উপন্যাস।
জয়ন্তী রায়
জয়ন্তী রায়ের জন্ম নরসিংদী জেলার রায়পুরায়। মেঘনা পাড়ে জন্ম হলেও জয়ন্তীর বেড়ে ওঠা ব্রহ্মপুত্র পাড়ে, ময়মনসিংহ শহরে। ১৯৭১ সালে বিয়ে হয় প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা ও অর্থনীতিবিদ অজয় রায়ের সঙ্গে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী রায় যুদ্ধের পরে জড়িত হন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সঙ্গে। এখন অবসর জীবনযাপন করছেন। ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজ নিয়ে। জীবনের অম্লমধুর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার থেকে কিছু তুলে ধরেছেন তার ‘মেঘনা পাড়ের মেয়ে’ গ্রন্থে।
রঞ্জনা বিশ্বাস
রঞ্জনা বিশ্বাসের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৪। বেদে জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের লোক-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ ও লোকসাহিত্য তার গবেষণার অন্যতম প্রধান বিষয়। ইতিপূর্বে রঞ্জনা তরুণ লেখক হিসেবে কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার এবং অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮ অর্জন করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে: বাংলাদেশের লোকধর্ম-১ম খণ্ড, বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক, বেদে জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রা, বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস, বেদে জনগোষ্টীর ভাষাঃ উৎস ও তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, ইত্যাদি।