বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ভাণ্ডারিয়ায় আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন আরও ১৬৬ গৃহহীন

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০১:০২

গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা। ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী ‘ক শ্রেণি’ভুক্ত একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮৬১টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ৬৩৫টি গৃহহীন পরিবারকে ঘরের সনদপত্র ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ১৬৬টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এরপর বাকি ৬০টি পরিবারকে ঘর প্রদানের মধ্য দিয়ে এই উপজেলাকে শতভাগ গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ আগস্ট উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৃহহীনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। একই বছরের ২২ নভেম্বর উপজেলা যৌথ কমিটির সভায় নদীভাঙন, বিভিন্ন দুর্যোগ বা অন্য কোন কারণে নতুন কোনো গৃহহীন তৈরি না হলে মোট ৮৬১ জনকে পুনর্বাসন করার মধ্য দিয়ে উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে উপজেলা যৌথ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা রানী ধরের সভাপতিত্বে সভা থেকে পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপিকে পুরো বিষয়টি অবহিত করা হয়। সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর প্রশাসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষক ও অন্যান্য গণ্যমান্য  ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না—প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রান্তিক গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট টিনশেড সেমিপাকা প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমানের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমএএম