উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি তাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং উন ও তার মেয়ে ব্যক্তিগতভাবে উৎক্ষেপণের তদারকি করেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএতে প্রকাশিত ছবির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ডেইলি মেইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পিয়ংইয়ং তার ২০২৩ সালের দ্বিতীয় আইসিবিএম পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। এতে একটি হোয়াসং-১৭ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে 'উন্মাদ' যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কিম সাদা-কালো রঙে রাঙ্গানো হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ দেখছেন। কয়েকটি ছবিতে তাকে তার মেয়ের সঙ্গে দেখা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এটি কিম জংয়ের দ্বিতীয় কন্যা, যার নাম জু এ।
আইসিবিএম এ মাউন্ট করা ক্যামেরা দ্বারা মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবিও কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষাটি এই আইসিবিএমের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে।
তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারর পরীক্ষা সফল হওয়ার পর কিম জানান, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের জবাব দেবে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে। তিনি পরমাণু যুদ্ধ ঠেকাতে যা যা প্রয়োজন তাই করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি যেকোনো সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষমতা অর্জনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাত্ত্বিক ভাবে হোয়াসং-১৭ আইসিবিএম যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
বৃহস্পতিবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি এমন সময় করা হয় যখন টোকিও ও সিউল তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। একই দিনে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রায় ১২ বছর পর টোকিওতে যান।
এর আগে, উত্তর কোরিয়া রোববার (১২ মার্চ) একটি সাবমেরিন থেকে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বৃহস্পতিবার দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এরই মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।