গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাত বছর পর ইংল্যান্ড এসেছিল বাংলাদেশ সফরে। এর আগে ২০১৬ সালে এসেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেসময় ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল তারা। এবারের সফরে এসে প্রথমে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। এছাড়া এবারই টাইগারদের ইতিহাসে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক, কারণ এক যুগে টাইগাররা মাত্র তিনটি সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাও আবার ইংল্যান্ডরা বাংলাদেশে এসেছে বলে। ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ বার বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছিলো ২০১০ সালে। সেবার টেস্টে বাজেভাবে হারের পর ওয়ানডে সিরিজও খুইয়েছিল টাইগাররা। যদিও ব্রিস্টলে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ রানে জিতেছিল তামিমরা। এরপর আর সেখানে খেলার সুযোগ হয়নি টাইগারদের।
গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কার পাবলিশ করেন। সেখানে উঠে আসে ২০১৬ এবং শেষ বার ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে। এসময় তামিম গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন সেখানে তাদের একযুগ ধরে খেলতে না পারার কথা। তখন টাইগার এ অপেনার বলেন, ‘তোমাদের উচিত আমাদেরকে আরও বেশি আমন্ত্রণ (দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার জন্য) জানানো।’
এদিকে শেষ বার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা দুই টেস্ট ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। সাক্ষাত্কারে তার খেলা সেই দুটি ইনিংসের স্মৃতিচারণ করে তামিম বলেন, ‘সেই ইনিংস দুটি সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়, বিশেষ করে আমাদের মতো দলের জন্য। স্মৃতিগুলো এমন কিছু যা, যখন আমি ক্রিকেট শেষ করব, আমি চিরকাল আমার হৃদয়ে ধারণ করব। সেবার তোমাদের ঐখানে আমরা যখন শেষ বার খেলেছিলাম তখনকার ফলাফলটা আসলে দুর্ভাগ্যজনক ছিল।’
‘তবে ঐ দুই ইনিংস সত্যিই আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে, আপনারা আমাদের আরো ঘন ঘন আমন্ত্রণ জানাবেন। কারণ ঐবারই ছিল শেষ বার যখন আমরা সেখানে খেলেছি, যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ এখন এমন একটি পরিস্থিতিতে রয়েছে যেখানে আমাদের প্রায়শই অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড সফর করা উচিত এবং আমি জানি না কেন তা হয় না। ১৩ বছর হয়ে গেছে এবং আমরা ইংল্যান্ডে ফিরে যাইনি। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এত ভালো করার পর আমরা আর সফর করিনি, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে।’ যোগ করেন তামিম।
এদিকে ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখের বেশি মানুষ থাকে। যে কারণে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচে প্রচুর সমর্থক দেখা গিয়েছিল গ্যালারিতে। ওয়ানডে অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, টাইগাররা যদি ইংল্যান্ড সফরে যায় তাহলে গ্যালারিতে ইংল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের সমর্থক বেশি থাকবে।
তামিম বলেন, ‘আমি তোমাকে এটা নিশ্চিত করতে পারি, খেলা হলে ইংল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের সমর্থক বেশি হবে। তুমি যদি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা মনে করো তাহলে দেখবে, আমরা ইংলিশ সমর্থকদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলাম। আমরা যে সংস্করণেই খেলি না কেন, আমরা ইংল্যান্ডে খেলার আমন্ত্রণ পেলে গ্যালারি ফুল হাউজ হবে।’