শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে বিতর্ক, শুনানি ২৯ মার্চ

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৪

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেছে। রোববার (১৯ মার্চ) তার শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
 
চিঠিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন বা তার প্রতিনিধিদের কেউ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় ভর্তি ভবনের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকবেন। সেই 'বিতর্কিত' জমি নিয়ে শুনানি হবে সেখানে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

বিশ্বভারতীর সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করেছেন। তাই আইন মেনে কেন তাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না, জমি নিয়ে বিতর্কের সেই প্রশ্ন বহু পুরনো।
 
কয়েকদিন আগে অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তখন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, ওই ১৩ ডেসিম্যাল জমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। সেই নোটিশ ঘিরেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠে।

অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করেছেন।
 অমর্ত্য পাল্টা দাবি করেন, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়া ও কিছু জমি কেনা। এখন কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে। এদিকে, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
মুখ্যমন্ত্রী জমির মূল্যায়ন সংক্রান্ত নথি অর্থনীতিবিদদের হাতে তুলে দেন। মমতা নিজেই বিএলআরও অফিসে গিয়েছিলেন। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে মমতা জানান, মানুষকে এভাবে অপমান করা যায় না। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

শান্তিনিকেতনে অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কিছুদিন আগে অমর্ত্য সেন বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির ইজারাদার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার আবেদন করেন। তার শুনানি হয় বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা। কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পরও এর মীমাংসা হয়নি।

ইত্তেফাক/ডিএস