সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে নাইন্দা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের ফলে ফের ধসে গেছে সদরপুর সেতুর সংযোগ সড়ক। এতে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। জেলার ৯ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক। এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সারাদেশের সঙ্গে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সুনামগঞ্জ জেলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা, সেতুর সংযোগ সড়কের ভাঙন ক্রমশ বেড়েই চলছে। সেতুর পূর্বপাড়ের একটি অংশ ইতিমধ্যেই ধসে গেছে। এর আগেও একই জায়গা ধসে যাওয়ায় সংস্কার করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোক ইট-পাথর ও বালুর বস্তা দিয়ে ধসে যাওয়া অংশ আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে ভাঙন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। ভাঙনের ফলে দু’পাড়ের অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। এর আগে সেতুর পশ্চিমপাড় ভেঙে যাওয়ায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরে অস্থায়ী বেইলি সেতু নির্মাণ করে স্বাভাবিক করা হয়েছিলো যান চলাচল। এ অংশও যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেতু পারাপারের সময় যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার এই সেতু ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেতুর নিচে তাকালেই ভয় করে। জোড়াতালি দিয়ে সংযোগ সড়কের ভাঙন আটকানো যাবে না। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করা হলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা জানান, এ সড়কে প্রতিদিন যাতায়াত করি। সদরপুরের সেতুর কাছাকাছি গেলে মনে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেতুর দিকে তাকালেই ভয় করে। যেভাবে নদী ভাঙছে সেতুটি অচিরেই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। সেতুতে যানবাহন নিয়ে উঠলে কাঁপতে শুরু করে। বার বার এই সেতু জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়। নতুন করে আরেকটি সেতু নির্মাণ করা দরকার।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, এই রাস্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ সেতু সংস্কার করা হচ্ছে। সেতুর দু’পাশে সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত সেতুর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।