সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগেই দুর্নীতি ১০০ কোটির বেশি

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৮

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আদালতে এই তথ্য জানিয়েছে ইডি। পাশাপাশি পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য,তার স্ত্রী ও ছেলেকে পেশ করা হয়েছিল। 

সেখানেই আদালতকে ইডি এর আইনজীবী জানান, শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতির পরিমাণ একশ কোটি টাকার বেশি বলে তাদের অনুমান। এখনো পর্যন্ত যে তথ্য তাদের হাতে এসেছে, তাতে এই অর্থ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইডি। 

মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য,তার স্ত্রী ও ছেলেকে পেশ করা হয়েছিল। 

ইডির আইনজীবীর দাবি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা সরাসরি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জেলে থাকার পরেও মানিক অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে এদিন জানিয়েছেন ইডি এর আইনজীবী। অন্যদের দল থেকে বার করে দেওয়া হলেও মানিককে এখনো দলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

আইনজীবীর বক্তব্য, গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধেক দুনিয়া পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করে ফেলেছেন মানিক। কোথা থেকে সেই টাকা এলো, তা এখনো জানাতে পারেননি মানিক। এই পুরো টাকাই নিয়োগ দুর্নীতির বলে দাবি ইডির। মানিকের ভাই তাদের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। 

 সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

জোর করে ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে কালো টাকা ঢোকানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মানিকের ভাই। এর জন্য মানিক ও তার ছেলে দুইজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন কিনি। এদিকে এদিন ইডি সূত্র জানিয়েছে, অয়নের অতিরিক্ত সম্পত্তির সঙ্গে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি আছে বলে তারা মনে করছেন। 

অর্থাৎ, পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে ইডির অভিযোগ। এ বিষয়ে সিবিআইকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইডি এর সূত্র। মঙ্গলবার আদালতে মানিক ভট্টাচার্য কিছু বলতে চেয়েছিলেন। তার আইনজীবী বিচারককে সেকথা জানান। 

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ।

বিচারক জানান, নিয়ম হলো একবার আইনজীবী নিয়োগ করলে অভিযুক্ত আর কিছু বলতে পারবেন না। বিচারক ১৮ মে পর্যন্ত মানিককে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

ইত্তেফাক/ডিএস