মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ক্ষতির মুখে গ্রাহক

যুক্তরাজ্য থেকে চিঠি আসতে এক মাস ২২ দিন পার 

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:০০

যুক্তরাজ্য থেকে ডাকে পাঠানো একটি চিঠি হাতে পেতে  সময় পার হয়েছে এক মাস ২২ দিন। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন গ্রাহক সোলেমান মিয়া। সোলেমান পৌর শহরের বাগবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ৩০ জানুয়ারি ইংল্যান্ড থেকে তার আত্মীয় তোতা মিয়া কিছু কাগজপত্র পাঠান। পূর্ব লন্ডনের ক্যানরি ওয়ারফ এলাকার একটি পোস্ট অফিস থেকে এই পত্রটি প্রেরণ করা হয়।

ডাকযোগে পত্র  প্রেরণের ১৫ দিন পরও পত্রটি না পাওয়ায় তিনি ছাতক পোস্ট অফিসে বারবার যোগাযোগ করে কোনো সন্ধান পাননি। এদিকে পত্র প্রেরক  ইংল্যান্ডের পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় এই পত্রটি ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ঢাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু বারবার সোলেমান মিয়া ছাতক পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করেই যাচ্ছেন। আর তাকে বলে দেওয়া হচ্ছে তার নামে কোনো পত্র আসেনি।

প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

এরপর এই পত্রটির আশা প্রায় বাদ দিয়েই ২০ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের একই পোস্ট অফিস থেকে আরও একটি পত্র পাঠান প্রবাসী তোতা মিয়া। এই পত্রটিও নির্ধারিত সময়ে হাতে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন সোলেমান মিয়া। ছাতক  এবং সিলেটের পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২১ মার্চ ইংল্যান্ডের পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করে তার প্রেরিত দুটি পত্র ফেরত চান তোতা মিয়া। অবশেষে সোলেমান মিয়া ২১ মার্চ পত্র প্রাপ্তির জন্য ছাতক পোস্ট অফিসে শেষ বারের মতো যোগাযোগ করেন। পোস্ট মাস্টার রফিক মিয়া ও পত্র ডেলিভারিম্যানরা এ দুটি পত্রের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তারা জানান, ২২ মার্চ একটি স্পেশাল ডাক আসার  কথা। এর মধ্যে পত্র দুটি থাকতে পারে। ২২ মার্চ দুপুরে সোলেমান মিয়া ছাতক পোস্ট অফিস থেকে  দুটি পত্রই ডেলিভারি পেয়েছেন।  তবে পত্রের মধ্যে তারিখ দেওয়া আছে ২১ মার্চ। পত্র দুটি কোনো ভুল ঠিকানায় পৌঁছে গিয়ে সময়ও পার হয়নি। তবে কীভাবে এক মাস ২২ দিন আগের পত্র এবং এর ২০ দিন পরের পত্র একই সঙ্গে পাওয়া গেল।

ছাতক পোস্ট মাস্টার রফিক মিয়া জানান, ‘ডকুমেন্ট অনুযায়ী ২১ মার্চ পত্র দুটি ছাতক পোস্ট অফিসে পৌঁছে।’ তবে সোলেমান মিয়ার অভিযোগ এখানে ডাক বিভাগের গাফেলতি রয়েছে। এতে তিনি ও তার পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু  বিচারের দাবি করেছেন তিনি।

ইত্তেফাক/এমএএম