মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

৪৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, ২১:১৭

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানির ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় হারুন অর রশিদ প্রধান (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে উপজেলার দেবনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে হারুন প্রধানকে গ্রেপ্তারের খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

গ্রেপ্তার হারুন অর রশিদ উপজেলার সাতমেরা এলাকার মৃত গফুর উদ্দিন প্রধানের ছেলে।

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ প্রধান। ছবি: ইত্তেফাক

জানা যায়, ২০১৪ সালে বাবর মিয়া (৬০) ও হারুন অর রশিদ বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানিকে ১৫০ একর জমি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন ধাপে টাকা নেন। অভিযুক্ত বাবর ও হারুন ভুয়া জমির মালিকানা দেখিয়ে নামে-বেনামে কাগজপত্র তৈরি করে বেক্সিমকো হোল্ডিং লিমিটেড, বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে তারা মাত্র ১৬ একর জমি কোম্পানিকে দেয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার আল মামুন। এ মামলায় বাবর মিয়া ও হারুন অর রশিদসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার দ্বিতীয় আসামি হলেন হারুন অর রশিদ। মামলার পর থেকে হারুন প্রধান আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর হারুনকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ প্রধান গ্রেপ্তারের পর এলাকায় মিষ্টিমুখ। ছবি: ইত্তেফাক

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু বলেন, হারুন প্রধান একজন ভূমিদস্যু। তার অত্যাচারে এলাকাবাসীও রেহাই পায়নি। জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে বেক্সিমকো কোম্পানি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। 

বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার আল মামুন বলেন, কোম্পানির জমি কেনার জন্য হারুন ও তার অন্যান্য সহযোগীদের টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। সে মামলায় বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পদ্মা পাওয়ার সোলার কোম্পানির প্রকৌশলী তামজিদুল কাইয়ুম নাফিস বলেন, প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা হারুন প্রধান ২০০ একর জমি কেনার টাকা নিলেও মাত্র ২৭ একর জমি বুঝে পেয়েছি। দুই কোম্পানি থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, হারুণ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবনগর এলাকা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও