সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক ব্যাক্তিগত কাজে রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান। সেখানে জেলা প্রশাসককে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়। এর মধ্যে বিপরীত একটি ফেসবুক পোস্ট দেখাগেছে চাঁদপুরে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুছ ‘স্যার’ না বলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে কার্যালয়ের সামনে নোটিশ লাগান।
বীর মুক্তিযোদ্ধায় এম, এ কুদ্দুস বলেন, আসলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার বাবার সময় থেকে চলাফেরা। একটা আবেগ কাজ করে আমাদের মাঝে। তারা যখন আমাকে ‘স্যার’ বলে তখন নিজের কাছে বিব্রতকর বোধ মনে হয়।
সম্প্রতি নিজ পরিষদের নোটিশ জারীর মাধ্যমে ‘স্যার না ডাকা’ নিয়ে বিশেষ সাক্ষাতকারের দৈনিক ইত্তেফাককে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি তিনি দৈনিক ইত্তেফাককে আরও জানান, অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে আমি অনেক বড় একটা পদে আছি আমাকে স্যার বলা খুব দরকার। কিন্তু আসলে তা নয়, আমি আসলে জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই। জনগণের ভাই বন্ধু, কারো মামা, কারো কাকা হিসেবেই থাকতে চাই। কেউ ‘স্যার’ বললে নিজের কাছে তখন ছোট মনে হয়। কারণ আমার এসব সাধারণ জনগণের সাথেই বেড়ে ওঠা।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার কারণে আমার এই নোটিশ জারি নয়। সাম্প্রতিক ওই ঘটনা ঘটার আরও অনেক আগেই আমি এই নোটিশ জারি করেছি। আমি চাই জনগণের সঙ্গে আমার ভালোবাসা সম্পর্কটা সবসময় অটুট থাকুক।
সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস তার পরিষদে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোটিশ জারির মাধ্যমে স্যার না ডাকার জন্যে সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেন। সে নোটিশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়। ‘আসসালামু আলাইকুম, আমার নির্বাচনী এলাকার সকল সাধারণ জনগনকে আগেও বিনীত আনুরোধ করেছি, আমাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করার জন্য। আমি আপনাদের ভাই, বন্ধু, আপনাদের সেবক এবং আপনাদের সেবক হয়েই থাকতে চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই প্রশংসিত হয়। তারই এই ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, সাধারণ অনেক লোক কমেন্ট করে ধন্যবাদ জানান।