শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বাঘায় দলিল লেখকদের দৌরাত্ম্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৬

রাজশাহীর বাঘায় দলিল লেখক সমিতির নামে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে সরকারি খরচের বাইরে অতিরিক্ত (ফি) অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। যারা জমি-রেজিস্ট্রির কিছুই বুঝে না এমন ব্যক্তিও দলিল লেখকের লাইসেন্স তৈরি করে টাকা আদায় করছেন। অনেক সময় জমি ক্রেতারা সমিতির ভয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে জমির মূল্য কম দেখাচ্ছেন। এতে করে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছেন দলিল লেখক সমিতি। ফলে বাঘার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল লেখকদের দৌরাত্ম্য রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছেন সেবা-প্রত্যাশীরা। 

জানা যায়, জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে গেলে সরকারি হিসাবের বাইরেও উপজেলা দলিল লেখক সমিতির জন্য অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। প্রতি লাখে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয় তাদের। এর মধ্যে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট টাকা ভাগবাটোয়ারা করে দলিল লেখক সমিতি ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতা।  

বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান বলেন, সোমবার একটি জমিটি রেজিস্ট্রি করতে নির্ধারিত ক্রয় মূল্যের চেয়ে তাকে সমিতির নামে গুনতে হয়েছে ৫২ হাজার টাকা। অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এর প্রতিকার চাই।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হেসেন মিল্টন বলেন, এখানে সপ্তাহে দুইদিন অফিস চলে। একদিনে সর্বোচ্চ আয় হয় ৪ লাখ টাকা। এসব টাকা সম্পূর্ণ দলিল লেখকদের দিচ্ছিনা। সামনে দুই ঈদ রয়েছে।  সেই ইদে বোনাস দেওয়ার জন্য রেখে দিচ্ছি।

বাঘা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. নকিবুল  আলম বলেন, দলিল প্রতি কমিশন আদায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এখানে সরকারের নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো অর্থ নেওয়া হয় না। তবে দলিল লেখকরা যদি সমিতির নামে কোনো অর্থ বাণিজ্য করে থাকে সেটি আমার জানা নেই।

ইত্তেফাক/এবি/পিও