সিশেলসের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ১-০ গোলে হেরেছে। পেনাল্টিতে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। সাদ উদ্দিন দেখে শুনে সিশেলসের ফুটবলারের মুখে পা তুলে দেন। ভুটানিজ রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
সাদ উদ্দিন জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার। প্রতিপক্ষের একজন ফুটবলারকে থামাতে সাদ পা তুলে দিয়ে দেশকে হারিয়েছেন। তার কারণে বাংলাদেশ ফুটবল দল সিরিজ জয়ের সুযোগ নষ্ট করেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে পর পর দুই খেলায় জেতার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। মাঠে নেমে অহেতুক এমন ফাউল করার কারনে ফুটবলের যে কোনো দেশে নিয়ম আছে শাস্তি দেওয়া।
খেলোয়াড় মাঠে কি কি করেছেন, তা নিয়ে খেলার পরে বিশ্লেষণ হয়। শাস্তি দেওয়া হয়। জরিমানা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলে এই প্রথা চালু নেই। না থাকার কারণে জাতীয় দলে খেলতে এসে ফুটবলাররা যেমন খুশি, যা খুশি করছেন। কোনো জবাব দিতে হচ্ছে না।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন বলেছেন এখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আসেন হাজিরা দিতে। হাজিরা দিয়ে চলে যান ক্লাবে।
মঙ্গলবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-সিশেলস ম্যাচ দেখেছেন ইলিয়াস হোসেন। বাফুফের এই সদস্য জাতীয় দলের ফুটবলারদের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন। সাদ উদ্দিন যেভাবে ফাউল করে বাংলাদেশকে হারিয়েছেন তা কোনো ভাবেই ক্ষমা করা যায় না। একটা বাচ্চা ছেলেও এভাবে আরেকটা ফুটবলারের মুখের ওপর পা তুলে দিয়ে দেশকে ডোবাবে না।
এখনকার ফুটবলারদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জাতীয় দলের সাবেক মিডফিল্ডার ইলিয়াস। তিনি বললেন,‘ম্যাচিউরিটির অভাব। কোন ম্যাচ কীভাবে খেলতে হবে, ম্যাচের কন্ডিশন কী, এগুলো বুঝতে হবে। ওদের এই বয়সে শেখানোর কী আছে। এই ফুটবলাররা কবে শিখবে। এত দিন ধরে ফুটবল খেলছে, কমিটমেন্ট নেই। দায়বদ্ধতা নেই। শুধু টাকা চেনে।’ সাদ উদ্দিনরা একের পর এক ভুল করে দেশের ফুটবলের সর্বানশ করছে। সব কিছু দেখে, জেনেশুনেও চোখ বন্ধ রেখেছে ন্যাশনাল টিমস কমিটি। বাফুফেও কমিটির কাছে কোনো জবাব নেয় না।
সিলেশস ফুটবল দল বাংলাদেশকে বলে কয়ে হারিয়ে দিল। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলায় হেরে গিয়ে জানিয়েছিল কীভাবে ফিরতে হয়। সেটা দেখিয়ে দিল। বাংলাদেশ কোথায় ভুল করবে কোথায় কী করবে সেটা সিশেলস কোচের জানা ছিল। কোচের কথা কীভাবে মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে ফুটবলাররা দেখিয়ে দিল। জয় নিয়ে তারা এখন দেশের পথে। আর বাংলাদেশের ফুটবলারা ফুরফুরে মেজাজে ক্লাব টেন্টে যোগ দিয়েছে।
সিশেলসের ফুটবলাররা অপেশাদার। তারা অন্য কাজকর্ম করে এসে ফুটবল অনুশীলন করেন। বাংলাদেশের টপ ফুটবলাররা ৫০ লাখ ৬০ লাখ টাকা পান। এমন ফুটবলারও আছেন যিনি ৭০ লাখ টাকার ওপরে পান মৌসুমে। আর সিশেলসের ফুটবলারদের অভাব অনটনে থাকতে হয়। ফুটবল থেকে আয় নেই। এই দেশের খেলোয়াড়রা বলে কয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলেন। প্রশ্ন উঠছে সিশেলসের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম জয়টি ফ্লুকে এসে ছিল কি না। ইলিয়াস বললেন, ‘ফ্লুকে এসেছে। ফিফার র্যাংকিংয়ে সিশেলস ১৯৯ আর বাংলাদেশ ১৯২ নম্বরে।