বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২৫ বছর পুরনো কংক্রিট পিলারের ওপর নতুন কাঠের ব্রিজ !

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫:০৪

জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা ভৌগলিকভাবে কাছাকাছি। সম্প্রতি এ দুই জেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ‘জিয়া খালের’ ওপর ২৫ বছর আগে নির্মিত পুরাতন পিলারের ওপর কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিনের জন দুর্ভোগ লাগব হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

আর এর জন্য পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিককে কৃতিত্ব দিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার ২নম্বার পোগলদিঘা ইউনিয়নের টাকুরিয়া এলাকায়, জিয়া খালের ওপর নব্বই দশকে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২৫ বছর  আগে তৎকালীন সরকার ব্রিজের কাজ শুরু করে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে পিলার স্থাপনের পরপরই  ব্রিজ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এতে করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার টাকুরিয়া, মালিপাড়া, ব্রাহ্মনজানী, মানিক পটল, বিন্নাফৈর, চর সরিষাবাড়ী এবং সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর, শালগ্রাম, মাজনাবাড়ীসহ ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে খালটি পার হলেও বর্ষায় দুর্ভোগ বেড়ে যেতো তাদের। তখন নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা ছিল। বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে গেলে ওই এলাকার মানুষজনকে প্রায় সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। তবে বর্তমানে ওই সব পিলারের ওপর লোহা ও কাঠ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে কাজটি শেষ করেন পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মানিক।

টাকুরিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, শুরুতে ব্রিজটি আমাদের আশার আলো হলেও পরবর্তীতে তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবে দীর্ঘ ২৫ বছর পর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক ব্রিজটি করে দিলেন।

শিক্ষার্থী লিখন বলেন, বন্যার সময় খালটি সাতরে পার হতে হতো গিয়ে ভিজে স্কুলে যেতে হতো। কিন্তু এখন আর কোনো চিন্তা নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, আমাদের এই চরাঞ্চলের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎসই হচ্ছে কৃষি কাজ। আমাদের রবি ও খরিফ শস্যসহ অন্যান্য ফসলের ভালো ফলন হলেও এই খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে নায্য দামে বিক্রি করতে পারেনি। তবে এখন ব্রিজটি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে করে দেওয়ায় ভোগান্তির অবসান হলো।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিক বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি। মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় আপাতত চলাচলের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে লোহার এ্যাঙ্গেল ও কাঠ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছি। পাশাপাশি উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে কীভাবে এখানে পূর্ণাঙ্গ ব্রিজ নির্মাণ করা যায় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।

ইত্তেফাক/আরএজে